ঠাকুরগাঁওয়ে শস্য বীমার ক্ষতিপূরণ পেয়ে আলু চাষিদের মুখে হাসি

1065

ঠাকুরগাঁও, ৯ জুন, ২০২১ (বাসস) : জেলায় প্রথমবারের মতো শস্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় ফসল উৎপাদন আবহাওয়াগত ঝুঁকির বীমার দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নর আখানগর বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বীমার দাবি পরিশোধ করেছেন ‘সিনজেটা ফাউন্ডেশন।’
বীমার দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন- ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হাসান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায়, দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনর্চাজ তোফাজ্জাল হাসান।
এছাড়াও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন- সুইস কট্যাক্টর টিম লিডার আরাফাত হাসান, এসএফএসএ প্রজেক্ট ম্যানেজার আমিনুল মুবিন, সিনজেটা বাংলাদশ লিমিটেড হেড অব সেলস হোদায়াত উল্লাহ্, গ্রিন ডেল্টা ইনসুরেন্সর এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মঈনউদ্দীন, সিনজেটা বাংলাদেশ লিমিটেডের চ্যানেল ডেভেলপেমেন্ট ম্যানেজার সৈয়দ নুরুজ্জামান প্রমুখ।
শস্য সুরক্ষা প্রকল্প যা কৃষকের আবহাওয়াগত ঝুঁকি একটি প্রক্রিয়া যেখানে সিনজেটা বাংলাদেশ লিমিটেডের উত্তরবঙ্গর ঠাকুরগাঁও সদর ও আক্কলপুর উপজলায় কৃষিতে সিনজেটা রিটইলারের মাধ্যমে সর্বশেষ আলুর নাভি ধসা রোগের বীমা সুরক্ষায় প্রায় ১ হাজার ১৪৯ জন আলু চাষিকে বীমাভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আর্দ্রতা এবং কম তাপমাত্রার কারণে ঠাকুরগাঁও সদরের বীমাকৃত ৫৭৮ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যার ফলস্রুতিতে তারা বীমাদাবি হিসেবে ৫২ হাজার ২৬ টাকা পরিশাধ করা হয়। শস্য সুরক্ষা প্রকল্প নিয় সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপেমন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি), সিনজেটা ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনবল এগ্রিকালচার বাংলাদেশ (এসএফএসএ বাংলাদশ), গ্রিন ডেল্টা ইনসুরেন্স কাম্পানী লিমিটেড বিভিন্ন এগ্রিগটরের সাথে ২০১৯ সালে কাজ শুরু করে।
এই বীমায় সর্বনিম্ন ২০ টাকা দিয়ে চাষিরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। বীমার মেয়াদ ফসলের শুরু থেকে শষ্যের সময়। এই সময় ফসল উৎপাদন বিভিন্ন পরামর্শ দেয় কৃষিতে সিনজেটা। এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার কৃষক ৮৩ হাজার ৫২২টি বিভিন ফসলের শস্য বীমা পলিসি ক্রয়ের মাধ্যমে ফসলকে সুরক্ষা করেছে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বীমা কর্তৃপক্ষ।