বাসস দেশ-৫ : করোনায় চট্টগ্রামে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতা বেশি

97

বাসস দেশ-৫
চট্টগ্রাম-করোনা-সুস্থ্যতা
করোনায় চট্টগ্রামে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থতা বেশি
চট্টগ্রাম, ৯ জুন, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ্য হয়ে ওঠা রোগির সংখ্যা অনেক বেশি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ সময়ে ৫১৭ জন আরোগ্যলাভ করেন এবং করোনায় আক্রান্ত এক রোগির মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, এ মুহূর্তে সক্ষমতা থাকা সরকারি-বেসরকারি ১২টি ল্যাবের ১১টিতে গতকাল নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মোট ১ হাজার ১৬১ জনের। নতুন শনাক্ত ১১৪ বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৬ এবং এগারো উপজেলার ৪৭ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফটিকছড়িতে ১৩, রাঙ্গুনিয়ায় ৮, বাঁশখালী ও হাটহাজারীতে ৬ জন করে, রাউজানে ৪ জন, সীতাকু- ও আনোয়ারায় ৩ জন করে এবং মিরসরাই, বোয়ালখালী, পটিয়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৫৪ হাজার ৩৩৪ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৩ হাজার ১০৩ জন ও গ্রামের ১১ হাজার ২৩১ জন
গতকাল করোনায় একজন মারা যান। জেলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৬৩২ জন। এর মধ্যে ৪৫০ জন শহরের ও ১৮২ জন গ্রামের। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৫১৭ জনকে। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ২৪ হাজার ২১৮ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫ হাজার ৯৯৩ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হন ৩৮ হাজার ১১০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৪০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৫০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে মিরসরাই ও সীতাকু-ের একজন করে দু’জনসহ ১৭ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৬৪ জনের নমুনার মধ্যে নগরীর একজনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯৫টি নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের ৩০টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭ ও গ্রামের ৭ জন করোনায় আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৪টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ১৩টিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮ জন পজিটিভ হন।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ১১৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯, মেডিকেল সেন্টারে ১৮ এবং এপিকে ৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ৬, ৩, ৫ ও ২ টি নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৬৩টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় শহরের ৫টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে, একমাত্র পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, শেভরনে ০ দশমিক ৩৮, চবি’তে ২০, সিভাসু’তে ১৪ দশমিক ৫৮, চমেকে ২০ দশমিক ৩১, আরটিআরএলে ২৫ দশমিক ৮০, ইম্পেরিয়ালে ৫ দশমিক ১৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ দশমিক ৭৯, মেডিকেল সেন্টারে ২৭ দশমিক ৭৭, এপিকে ৪০ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১২২৬/-আসাচৌ