কেন্দ্রিয় ব্যাংকের পোশাক শিল্প সংক্রান্ত নীতিমালা আরও সহজ হোক : বিজিএমইএ

1073

ঢাকা, ৭ জুন, ২০২১ (বাসস) : কোন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি মূল্য অপ্রত্যাবাসিত থাকার কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি ভর্তুকি কিংবা নগদ সহায়তার আবেদন গ্রহন প্রক্রিয়া যেন বন্ধ না করা হয়, সেজন্য কেন্দ্রিয় ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবিরের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ এই অনুরোধ জানান।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহসভাপতি মো. শাহিদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী,পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. খসরু চৌধুরী ও সাবেক পরিচালক মো. মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনা মহামারিতে পোশাক শিল্প একটি ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় কোন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি মূল্য অপ্রত্যাবাসিত থাকার কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি ভর্তুকি কিংবা নগদ সহায়তার আবেদন গ্রহনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে উদ্যোক্তারা গভীর সংকটে পড়বে। এ ধরনের কার্যকারিতা আগামী ৬ মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পোশাক শিল্প সংক্রান্ত ইস্যুগুলো সহজীকরণের উদ্যোগ নেয়া হলে তা শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। বৈরি প্রভাব মোকাবেলায় কৈন্দ্রিয় ব্যাংকের কাছে আমরা সহযোগিতা চাচ্ছি।
বিজিএমইএর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে গর্ভনর ফজলে কবির যৌক্তিক প্রস্তাবসমূহ পর্যালোচনার আশ^াস দেন। বলেন, যৌক্তিক প্রস্তাবের বিষয়ে আদেশ জারী করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিজিএমইএ ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের বন্ডেড ওয়্যার হাউজ লাইসেন্স এবং আইআরসি দাখিলের নিমিত্তে চাপ সৃষ্টি না করার জন্য সকল তফসিলি ব্যাংকের অনুকূলে নির্দেশনা জারী করার অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া বৈদেশিক বানিজ্য লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মূদ্রা বিধি শিথিলকরণ বিষয়ে জারীকৃত সার্কুলারের মেয়াদ আরও ৬ মাস বৃদ্ধি, তারল্য সংকট মেটাতে পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা প্রদানের জন্য এফই সার্কুলারের সময়সীমা ৬ পর্যন্ত বর্ধিত করা। এক্সপো ওভারডিউ হওয়ার ফলে বানিজ্যিক ব্যাংকসমূহ যেনো রপ্তানিকারকদের ইডিএফ তহবিল ব্যবহার, নগদ সহায়তা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখে , সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান।
এছাড়া সংগঠনটি প্যাকিং ক্রেডিটের বিপরীতে সুদের হার ৭ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ নির্ধারন, করোনা অতিমারির সময়ে পোশাক খাতকে টিকিয়ে রাখতে ইডিএফ ফান্ডের সুদের হার ২ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করা এবং একক ঋণ গ্রহীতার সীমা ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত প্রদানের সুবিধার মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করে।