জীবন জীবিকা রক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বাজেট : বিপিজিএমইএ

929

ঢাকা, ৭ জুন, ২০২১ (বাসস) : বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে জীবন জীবিকা রক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বাজেটে বলে অভিহিত করেছে। সোমবার রাজধানীর পল্টনে বিপিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে এমন অভিমত তুলে ধরে।
বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন,‘ কোভিড অতিমারির কারণে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এই বাস্তবতায় সরকার সব শ্রেণীর মানুষকে মাথায় রেখে করোনা মোকাবেলা, জীবন জীবিকা রক্ষা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাজেটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।’ তিনি বলেন, বাজেটে অর্থমন্ত্রী আর্থিক খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
সংগঠনটির অভিমত,সামাজিক নিরাপত্তা বলায় বাড়ানো, করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ, প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন, কৃষি এবং খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনাকে অধিক গুরুত্ব প্রদান কোভিড সৃষ্ট সংকট মোকালোয় সরকারের আন্তরিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে প্লাস্টিক ক্রোকারিজ আইটেমে মূসক অব্যহতি, প্লাস্টিক খেলনার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেছে বিপিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ।
প্লাস্টিক ক্রোকারিজ আইটেমকে আগামী ৫ বছর মূসক অব্যহতির দাবি করে সামিম আহমেদ বলেন, গ্রামের নি¤œ আয়ের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ প্লাস্টিক ক্রোকারিজ পণ্যসমূহ ব্যবহার করে থাকেন। এ সমস্ত পণ্য সাধারণত পুরাতন ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে রি-সাইক্লিং করে তৈরি হয়। পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াটি পরিবেশ বান্ধব। এসমস্ত পণ্য ভাঙ্গারীর বিনিময়ে শহরের বস্তি ও গ্রারে নি¤œ আয়ের মানুষ দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হকার ও ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। এসব পণ্যে মূসক অব্যাহতি দিলে সাধারণ মানূষের কাছে সেগুলো আরও সহজলভ্য হবে। তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক খেলনা সামগ্রীর উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ রয়েছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপিত হওয়ার পর থেকে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, কেননা দেশীয় খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমুহ ক্ষুদ্র, এদের ভ্যাট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। ভ্যাটের খাতাপত্র মেইনটেইন করার সামর্থ্য নেই। ১৫ শতাংশ ভ্যাটের কারণে পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি হওয়ায় বিদেশী নি¤œ মানের পণ্য বাজারে আসছে। তাই এসমস্ত ক্ষুদ্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে ভ্যাট প্রত্যাহার আবশ্যক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিপিজিএমইএ ওষুধ, তথ্যপযুক্তি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণখাতের ন্যায় প্লাস্টিক শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা প্রদান, রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎসে করহার ও করপোরেট করহার কমানোর সুপারিশ করেন। একইসাথে বার্ষিক টার্ণওভারের উর্দ্ধসীমা ১ কোটি ৫০ লাখের পরিবর্তে ৫ কোটি নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাবেক সভাপতি এ এস এম কামাল উদ্দিন ও ফেরদৌস ওয়াহেদ এবং বর্তমান জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।