ঢাকা, ৭ জুন, ২০২১ (বাসস) : নাগরিক সেবা প্রদান প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য নয়টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ ” বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে উদ্ভাবন প্রদর্শনী” শীর্ষক এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ড. মো. আশফাকুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব(জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মোঃ মনিরুজ্জামান ও মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধান এবং ইনোভেশন টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশগত ছাড়পত্র স্বল্পসময়ে প্রদানের লক্ষ্যে ‘অনলাইন পেমেন্ট ইন ইসিসি’ অটোমেশন সফ্টওয়্যারে ইলেকট্রনিক ট্রেজারি চালান ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ফি পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। সেবা গ্রহীতারা সোনালী ব্যাংক বা বিভিন্ন ধরনের কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
বন বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ‘ সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশ বিতরণে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরী করণ’ প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ে জনগণকে লভ্যাংশ প্রাপ্তির সংবাদ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে জানানো যাবে এবং প্রদেয় টাকা অনলাইনে উপকারভোগীর ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ‘মোবাইল অ্যাপস ও বনজ বৃক্ষের পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাই দমন’ কার্যক্রমের মাধ্যমে বনজ নার্সারি, বাগান বা বন রোগ-বালাই বা পোকা-মাকড় দ্বারা আক্রান্ত হলে উদ্ভাবিত অ্যাপস ব্যবহার করে সেবা গ্রহীতাগণ তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতিকার বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন ‘রাবার বিক্রয়করণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ’র মাধ্যমে ক্রেতাদের চাহিদা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে গুনগত মান সম্পন্ন রাবার সঠিক সময়ে বিক্রয়ের মাধ্যমে রাবার সেক্টরের লোকসান কমে আসবে।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ‘প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরি’র মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং করা যাবে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম ‘মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে উদ্ভিদ নমুনা সনাক্তকরণ’ প্রক্রিয়ায় মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে আবেদনকারী কাঙ্খিত তথ্য জানাতে পারবে। এক্ষেত্রে সিস্টেম ড্যাস বোর্ডের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবা, সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারীর তথ্যাদি মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘মামলা ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ’ সফ্টওয়ারের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে মামলাসমূহ দ্রুত নিস্পত্তির কার্যক্রম এবং সলিসিটর উইং ও এ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, মামলার রিপোর্ট তৈরি এবং সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা প্রদান করা সহজতর হবে। ‘ আবেদন বা আপীল নিষ্পত্তি সহজীকরণ’ প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়ের আপীলকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সময় ও খরচ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আপীল আবেদন অনলাইনে সম্পন্নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও কাজের গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে স্বল্পসময়ে ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অফিস স্টেশনারী সরবরাহ’র উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।