লামায় বিনামূল্যের ঘর পাচ্ছেন আরো ১৭৫ পরিবার

170

বান্দরবান, ৭ জুন, ২০২১ (বাসস) : ‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না’- মুজিবশতবর্ষকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার আলোকে দ্বিতীয় পর্যায়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার ভূমিহীন ১৭৫ পরিবার পাবেন দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সারা দেশে গৃহ ও ভূমিহীনদের সেমি পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে লামা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৭৫টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যে গজালিয়া ইউনিয়নে ৩০টি, লামা সদর ইউনিয়নে ৩০টি, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ২৬টি, আজিজনগর ইউনিয়নে ৩৫টি, রুপসীপাড়া ইউনিয়নে ৩৫টি ও সরই ইউনিয়নে ১৯টি সেমি পাকা ঘর বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিটি ঘরে থাকছে ২টি শয়ন কক্ষ, একটি টানা বারান্দা, শৌচাগারসহ রান্না ঘর। মাঠ পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ কাজ বাস্তবায়ন করছেন। উপকারভোগীদের তালিকা অনুযায়ী গৃহ নির্মাণের স্থান নির্বাচন ও জমি পরিদর্শনের কাজ শেষে গত এপ্রিল মাস থেকে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি অলি বাপের জুম গ্রামের হতদরিদ্র বাসিন্দা হোসনে আরা, ঘিলাতলী পাড়ার নজির আহমদ, ইয়াংছা এলাকার উহ্লাচিং মার্মা ও রুপসীপাড়া ইউনিয়নের হ্লাচাই পাড়ার বাসিন্দা হ্লামেচিং মার্মা ও উক্যইপ্রু মার্মা বসবাস করতেন ঝুঁপড়ি ঘরে। তারা জানায়, অভাবের সংসারে কখনো নতুন করে সেমি পাকা ঘর তৈরি করার স্বপ্ন কল্পনাতেও আসেনি তাদের। যে স্বপ্ন কখনো কল্পনাতে আসেনি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ থেকে পাওয়া তাদের সেমিপাকা একটি ঘর হচ্ছে। জুন মাসের মধ্যেই তারা সেই ঘরে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে গৃহহীন পরিবারকে বিশেষ ডিজাইনের ঘর দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরকারের এমন মহতি উদ্যোগের কারণে খুশি হত দরিদ্ররা।
উপজেলার ১৭৫ ভূমিহীন ও হতদরিদ্র পরিবার পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনুর রহমান বলেন, গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়ার এত বড় কর্মসূচি পৃথিবীতে আর একটিও নেই। ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’-এ স্লোগানকেকে প্রতিপাদ্য করে উপজেলায় আরো ১৭৫টি ঘরের কাজ ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। এর আগেও এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ২৫১ ভূমিহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বিশেষ ডিজাইনের সেমি পাকা ঘর পেয়েছেন।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রেজা রশীদ জানান, জুন মাসের মধ্যেই উপকার ভোগীদেরকে ঘরের চাবি হস্তান্তর করতে পারবো। ঘর পাওয়ার পর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যরা ভালোভাবে থাকতে পারবেন বলেও জানান তিনি।