চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু

179

চট্টগ্রাম, ৭ জুন ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৬০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৬৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ৪৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৬০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৫ জন এবং সাত উপজেলার ২৫ জন। উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৯ জন, রাউজানে ৬ জন, ফটিকছড়িতে ৪ জন, আনোয়ারায় ৩ জন এবং মিরসরাই, ভুজপুর ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫৪ হাজার ৯২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪২ হাজার ৯৪৯ জন ও গ্রামের ১১ হাজার ১৪৪ জন।
করোনায় গতকাল নগরীর বাসিন্দা ২ পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৬২৯ । এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৫০ জন ও গ্রামের ১৭৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ৪৬৬ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ১১৮ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫ হাজার ৯৩৮ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন ৩৭ হাজার ১৮৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হন ৩০ জন, ছাড়পত্র নেন ৫৭ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৭২ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল দুই জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ মাসের প্রথম ছয়দিনে ৭ করোনা রোগী মারা যান। তবে এ সময়ে আক্রান্তের প্রায় ৮ গুণ মানুষ আরোগ্যলাভ করেছেন। শহর ও গ্রামে আক্রান্তের পাল্লাও প্রায় সমান থাকছে। নতুন আইসোলেশনের বেশি রোগী করোনামুক্তির ছাড়পত্র গ্রহণ করেছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে। এখানে ১৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮ ও গ্রামের ২৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৫৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১০ জনের নমুনায় গ্রামের একজনসহ ৪ জনের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০ জনের শরীরে জীবাণু শনাক্ত হয়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৪৯ টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৩ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৮ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৪ টি নমুনায় নগরীর ৪ টি এবং নতুন যুক্ত এপিক হাসপাতালের ল্যাবে ৩ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে সংক্রমণ পাওয়া যায়। এছাড়া, চট্টগ্রামের ৬ জনের নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় সবক’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু) ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, চবিতে ১৮ দশমিক ৩৪, বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৬০, চমেকে ৪০ শতাংশ, আরটিআরএলে ৩৮ দশমিক ৪৬, শেভরনে ৬ দশমিক ১২, মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ দশমিক ৭১, মেডিকেল সেন্টারে ২৮ দমমিক ৫৭, এপিক হাসপাতালে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ শতাংশ।