বাসস দেশ-২৫ : মাশরুমের চাষ বৃদ্ধিতে প্রকল্প গ্রহণসহ সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী

85

বাসস দেশ-২৫
কৃষি-সম্ভাবনা
মাশরুমের চাষ বৃদ্ধিতে প্রকল্প গ্রহণসহ সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ জুন, ২০২১ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সম্ভাবনাময় মাশরুমের চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি সকল ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে অর্থকরী ফসল মাশরুম চাষের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী রোববার সাভারে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে মাশরুম চাষি ও উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. রাজ্জাক বলেন, ইতোমধ্যে মাশরুমের উন্নত জাত ও চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। এখন সারা দেশে দ্রুততার সাথে কৃষক ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে তা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করা প্রয়োজন। সেজন্য উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে। পাশাপাশি অন্যান্য উদ্যোগও অব্যাহত আছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (সম্প্রসারণ) মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজিব এবং পৌর মেয়র আব্দুল গণি বক্তব্য রাখেন।
বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি ও নানা প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিগত ১২ বছরে কৃষিতে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের এখন লক্ষ্য কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করা এবং একই সঙ্গে সকলের জন্য পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে মাশরুমের সম্ভাবনা বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাশরুমের চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
মতবিনিময় সভায় ‘বাংলাদেশে মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয়তা, সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ। প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাশরুম একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ফসল। মাশরুম একটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধিগুণসম্পন্ন খাবার। মাশরুম চাষ করার জন্য কোন আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। অনুৎপাদনশীল ফেলনা জমির স্বল্প পরিমাণ ব্যবহার করেই বিপুল পরিমাণ মাশরুম উৎপাদন করা যায়।
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে মাশরুমের ১৬২টি জাত দেশে এনেছে এবং সেগুলো দেশে চাষের উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। দেশের পাহাড়ি ও বনাঞ্চল থেকেও ১৪০ টি জাত সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া, ইনস্টিটিউটে মাননিয়ন্ত্রণ ও মাননিশ্চিত করার লক্ষ্যে আধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ল্যাবে মাশরুমের পুষ্টি ও ঔষধিগুণসহ ভিটামিন, মিনারেল প্রভৃতি নির্ণয় করা হচ্ছে।
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, মাশরুম উৎপাদন দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন মাশরুম প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
বাসস/সবি/কেএকে/১৮৪২/-শআ