দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ওষুধ কারখানার উদ্বোধন এই মাসেই

865

ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : সরকারী মালিকাধীন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) নতুন কারখানার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই কারখানারটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই প্রকল্পের চারটি ইউনিটের মধ্যে পেনিসিলিন ইউনিটটি চলতি মাসেই (সেপ্টেম্বর) পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে কারখানাটিতে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু হবে। ইডিসিএল-এর এই থার্ড প্ল্যান্ট প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বাসস’কে বলেন, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসের যেকোন দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ওষুধ কারখানার উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পের চারটি ইউনিটের মধ্যে পেনিসিলিন ইউনিটটি সেপ্টেম্বরে পরীক্ষামুলক উৎপাদনে যাবে। অন্য ইউনিটগুলোর পূর্ণ উৎপাদনে যেতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। এই ইউনিটে পেনিসিলিন জাতীয় ১২ ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করা হবে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সরকারি এই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৭শ’কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই পুরো ব্যয় বহন করা হচ্ছে সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে।
প্রকল্প সুত্র জানায়, কারখানাটি চালু হলে উৎপাদন করা হবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ও ইনজেকশন, আইভি ফ্লুইড, পেনিসিলিন ও আয়রন ট্যাবলেট। এই কারখানার মাধ্যমে বছরে ৩ হাজার ৩শ’ মিলিয়ন জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন, ৩ হাজার ২ মিলিয়ন পিল, ১৮১ মিলিয়ন পেনিসিলিন ট্যাবলেট, ২১৭ মিলিয়ন পেনিসিলিন ক্যাপসুল উৎপাদন হবে।
জানাগেছে, সরকারের চলমান স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও বেশি গতিশীল এবং জোরদার করার লক্ষ্যে এবং সরকারী অর্থ সাশ্রয় করে বিদেশে ওষুধ রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) এই থার্ড প্ল্যান্ট প্রকল্পটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জ জেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দশ একর জমির ওপর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সরকারী এই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৭শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই পুরো ব্যয় বহন করা হচ্ছে সরকারী অর্থায়নের মাধ্যমে।
ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল বাসস’কে বলেন, বর্তমানে ইডিসিএল সরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মোট ওষুধের চাহিদার ৭২ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। এই কারাখানা উৎপাদন প্রক্রিয়া পূর্ণমাত্রায় শুরু হলে শতভাগ ওষুধ সরবরাহ এখান থেকে সম্ভব হবে। এই ইউনিটে পেনিসিলিন জাতীয় ১২ ধরনের এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করা হবে। ইডিসিএল’র নতুন এই কারখানায় ৭৭৮ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, দেশের সকল সরকারী হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সরকার বিনামূল্যে প্রায় সব প্রকার ওষুধ জনগণের মাঝে বিতরণ করে থাকে। আর এই ওষুধের প্রায় ৭২ শতাংশ যে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের শতভাগ মালিকানাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএল। ঢাকা ও বগুড়ায় দু’টি প্ল্যান্ট এবং খুলনায় একটি ল্যাটেক্স প্ল্যান্ট রয়েছে ইডিসিএলের।