করোনার ব্যাহত হওয়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে হবে : স্পিকার

252

ঢাকা, ৪ জুন, ২০২১ (বাসস): স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারী দীর্ঘায়িত হলে ব্যাহত হওয়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজতে হবে।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বিকল্প সহায়ক হতে পারে।
হাই লেভেল রাউন্ড টেবল ফর পার্লামেন্টারিয়ান্স অন এডুকেশন ফিন্যান্সিং শীর্ষক ভার্চুয়াল গ্লোবাল এডুকেশন সামিটে বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এ কথা বলেন। সিপিএ এবং ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক ফর এডুকেশনের যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
তিনি বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বৈশ্বিক শিক্ষা কার্যক্রম সচল ও স্বাভাবিক করতে ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমগ্র বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
স্পিকার বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার এজেন্ডা অনুযায়ী কেউই পিছিয়ে থাকবে না। কোভিড-১৯ মহামারী যেন শিক্ষাখাতে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শহর ও গ্রামে অনলাইন প্রক্রিয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম সচল করতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মোবাইল ডাটা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় একটি চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে, বাজেটে অতিরিক্ত আর্থিক বরাদ্দের প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাখাতকে বাঁচাতে বিকল্প ও সৃজনশীল পন্থা খুঁজে বের করে সংসদ সদস্যদের কাজ করার এখনই সময়। ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন’ কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত শিক্ষা কার্যক্রমকে ঢেলে সাজাতে যে সব পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, তা অনুসরণ করলে সংসদ সদস্যগণ শিক্ষাখাতকে বাঁচাতে সহজেই ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিরূপণ করতে পারবেন।
স্পিকার বলেন, বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ে ও শিশু শ্রম থেকে বিরত রেখে প্রান্তিক, অনগ্রসর ও গরীব শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত রাখার উপায় খুঁজে বের করা সংসদ সদস্যগণের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোভিড-১৯ মহামারী শিশুদের ঝরে পড়ার হার যেন বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য উপবৃত্তির আওতা বিস্তার করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে উপবৃত্তি খাতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।
জোই কোহেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল সামিটে জুলিয়া গিলার্ড, হ্যারিয়েট বাল্ডউইন, জোসেফ হান ওরিলি, নাটালিয়া ইলিনা ইন্টোটেরো, শ্রদ্ধা কৈরালা, মিনিস্টার সেংগেহ, স্টিফেন টুইগ, মার্গারেট কামার, জিয়াদ আব্দুল তাইফ, জর্জ আমিলাখভারি, হৃদয় নারায়ণ দিক্ষিত, সাইকোবা জারজু, ফাতিমা কোহেস্তানি, ডামিয়েন কুরেক, জালালুদ্দিন আলিয়াস বক্তাগণ মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।