বাসস বাজেট-১৩ : সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ৪২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

106

বাসস বাজেট-১৩
সড়ক পরিবহন-বাজেট
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে ৪২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২১ (বাসস) : আগামী অর্থ-বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু বিভাগে মোট ৪২ হাজার কোটি ৭৬২ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থ-বছরের উত্থাপিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই প্রস্তাব করেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, একটি আধুনিক ও টেকসই মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ঢাকা মহানগরীতে যানজট নিরসনে দ্রুত গতির গণপরিবহন ব্যবস্থা (এমআরটি ও বিআরটি) প্রবর্তনসহ মোটরযান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে পরিকল্পনা গ্রহণসহ বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান আছে।
তিনি বলেন, বিগত ১২ বছরে সরকার সড়ক পথের উন্নয়নে ৩৩১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এবং ৪৫২টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। একই সময়ে ৪৫৩.০৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেন ও তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রথম ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৪ লেন বিশিষ্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক, ঢাকা-মংমনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্র মহাসড়ক উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ইত্যাদি চার লেনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় বর্তমানে ২৬টি বৃহৎ প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ঢাকা মহানগরী ও পাশ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে অত্যাধুনিক গণপরিবহন হিসাবে ৬ টি মেট্রোরেল সমন্বয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর আওতায় মোট ১২৮.৭৪১ কিলোমিটার ( উড়াল ৬৭.৫৬৯ এবং পাতাল ৬১.১৭২ কিলোমিটার) দীর্ঘ ও ১০৪ টি স্টেশন (উড়াল ৫১ টি এবং পাতাল ৫৩ টি) বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার নিমিত্তে সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ২০৩০ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে সেতু বিভাগ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও স্বাধীনচেতা নেতৃত্বে ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলেই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৬০১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছে। নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ এর প্রতিশ্রুতি পূরণের দিকে লক্ষ্য রেখে চলমান প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নসহ আরও কিছু নতুন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাসস/বিকেডি/১৮২০/-কেএটি