বাসস বাজেট-১৪ : প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা

109

বাসস বাজেট-১৪
প্রাথমিক-শিক্ষা-বরাদ্দ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২১ (বাসস) : আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৬ হাজার ৩১১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২৪ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব পেশ করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় পরিচালন খাতে ১৮ হাজার ২৯২ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৮ হাজার ২২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষায় অনুন্নয়ন খাতে ১৫ হাজার ৫৩৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৯ হাজার ৪’শ ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। এতে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাথমিক শিক্ষায় ২৪ হাজার ৯৩৯ কোটি ৪৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার ৭০১ কোটি টাকা।
আজ বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ চর্চা ও পাঠে মনোযোগী রাখার লক্ষ্যে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে ‘ঘরে বসে শিখি’ প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ সম্প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে শিক্ষায় যুক্ত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া আনন্দময় করতে প্রতি শিক্ষার্থীকে বছরের শুরুতে ‘কিট অ্যালাউন্স, ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ’ বাবদ প্রাথমিকভাবে ১ হাজার টাকা এবং উপবৃত্তির মাসিক হার ১০০ টাকার পরিবর্তে ১৫০ টাকা করে প্রদানের নির্দেশনা দেন। এজন্য আমরা বর্তমান অর্থবছরে ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি, যারমধ্যে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা কিট অ্যালাউন্স বাবদ এবং অবশিষ্ট টাকা উপবৃত্তি বাবদ ব্যয় হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা মহামারীর মাঝেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপকারভোগী শিক্ষার্থীর মায়েদের বা অভিভাবকদের মোবাইল একাউন্টে উপবৃত্তির অর্থ পৌছে দেয়া হচ্ছে। এই সংকটকালে এ উপবৃত্তির অর্থে দরিদ্র ও নি¤œবিত্ত পরিবারগুলো কিছুটা হলেও সহায়তা পেয়েছে। এছাড়া কার্যক্রমটি সার্বজনীন করার ফলে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাঝে ধনী-গরীবের বিভেদ দূরীভূত করা যাচ্ছে।
বাসস/এসএস/১৮২২/-এমএন