বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ : দেশে চায়ের উৎপাদন গত দশ বছরে প্রায় ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

1005

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩
শেখ হাসিনা – বাণী
দেশে চায়ের উৎপাদন গত দশ বছরে প্রায় ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২১ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শিল্পের প্রসার তথা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনয়নে চা শ্রমিক, চা গবেষক, চা উৎপাদনকারী, চা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একসাথে আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
আগামীকাল ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি, চা শিল্পের প্রসার তথা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনয়নে চা শ্রমিক, চা গবেষক, চা উৎপাদনকারী, চা ব্যবসায়ীসহ সকলে একসাথে আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ফলে দেশে চায়ের উৎপাদন গত দশ বছরে প্রায় ৬০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশে সর্বাধিক ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়।
চা রপ্তানির পুরাতন ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে সরকার এর উৎপাদনের পাশাপাশি বিপণনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে ২০২০ সালে ১৯টি দেশে চা রপ্তানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে। এবং আমরা চা আইন ২০১৬ প্রণয়ন করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চা গাছের নতুন নতুন ক্লোন উদ্ভাবন, উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক ও কার্যকরী চা চাষ প্রক্রিয়া উদ্ভাবন, গবেষণাগার আধুনিকায়ন ও চা বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উৎসাহ প্রদান, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদানুযায়ী গুণগত মানসম্পন্ন ও বৈচিত্রময় চা তৈরি, চায়ের বহুমুখী ব্যবহার, আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মানের মোড়কে বাজারজাতকরণ এবং সর্বোপরি নতুন নতুন বাজার অন্বেষণে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।’
‘এজন্য আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা প্রদান করবে। আমাদের সরকার চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন করেছে। আমরা চা শ্রমিকদের জন্য বিভিন্ন ভাতা ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছি। চা বাগানের শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাগানগুলোতে পর্যাপ্ত স্কুল ও হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। তিনি চা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। তাঁর প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তাঁর অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় চা দিবস’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৭১০/এএএ