চট্টগ্রামে করোনা রোগির সুস্থতার হার বাড়ছে

514

চট্টগ্রাম, ৩ জুন, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগির সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন গুণ। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১১ জন ও আরোগ্যলাভ করেন ৩৭৯ জন। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল বুধবার নগরীর আটটি, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১১১ জনের মধ্যে শহরের ৭৪ জন, এবং বারো উপজেলার ৩৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ১৯, সীতাকু-ে ৪, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, আনোয়ারা ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং মিরসরাই, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৩ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে শহরের ৪২ হাজার ৭৬৬ ও গ্রামের ১০ হাজার ৯৮৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত নগরীর এক রোগির মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা এখন ৬২৬ জন। এতে শহরের ৪৪৭ ও গ্রামের ১৭৯ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৭৯ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা এখন ৪১ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৫ হাজার ৮৫৭ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে সুস্থ হন ৩৫ হাজার ৫৯৬ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৭৭ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৪৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ২৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৪ জনসহ ২৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের ১৮ জন আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০৮টি নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের ৬টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৮টি ও গ্রামের ৪টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২২০টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২টিসহ ১৮টি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১১টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৩টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন পজিটিভ শনাক্ত হয়। চট্টগ্রামের ২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটির পজিটিভ ও একটির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। তবে, এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, চবি’তে ১৭ দশমিক ৭৩, সিভাসু’তে ১৩ দশমিক ৮৯, চমেকে ১০ দশমিক ৯১, আরটিআরএলে ৪৪ দশমিক ৪৪, শেভরনে ৮ দশমিক ১৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭ দশমিক ২৭, মেডিকেল সেন্টারে ২৬ দশমিক ৬৬, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫০ শতাংশ ।