বাসস দেশ-৭ : অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে ১৪ দল

164

বাসস দেশ-৭
নাসিম-নির্বাচন-সমাবেশ
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে ১৪ দল
ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : গণতন্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত করা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে ১৪ দল।
এ ছাড়াও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। নির্বাচনের তফশিল ঘোষনার আগ পর্যন্ত সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি (জেপি)’র মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতীয় নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসে তখন অশুভ একটি মহল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর জাতীয় নির্বাচনের মতো ওই অশুভ শক্তি আবারো নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কোন অবান্তর, অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক দাবি দেশের মানুষ মানবে না। কারণ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’র মাধ্যমে নির্বাচনে কারচুপির কোন সুযোগ নেই।
নাসিম বলেন, সংবিধান বিরোধী কোন কোন কাজ কাউকে করতে দেওয়া হবে না এবং তা মেনে নেওয়া হবে না। আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের আগে সংলাপের দাবি নাকচ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দল অর্থহীন সংলাপের পক্ষে নেই। সংলাপের অর্থ হলো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া এবং অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনা।
‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করাই বিএনপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা মন্তব্যের জবাবে নাসিম বলেন, দেশের জনগনের রায়ের মাধ্যমেই কেবল মাত্র সরকার পরিবর্তন হতে পারে। কোন দল বা মহল সরকার পরিবর্তন করতে পারবে না।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে যেভাবে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে তাতে দেশের মানুষ আবারো আওয়ামী লীগকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। সরকার বদলের বিএনপির স্বপ্ন দু:স্বপ্নে পরিণত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা বা না করার বিষয়টি নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র এখতিয়ার। তবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল পাওয়া গেছে। কেননা ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত অনেক ভোট কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থীরাও জয়লাভ করেছে। আর ভাল জিনিস মেনে নিতে কারো তো কোন সমস্যা থাকার কথা নয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নাসিম বলেন, কেন্দ্রীয় ১৪ দল একটি আদর্শিক জোট। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া বড় লক্ষ্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনই এ জোটের প্রধান লক্ষ্য।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
এ সময় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের আহবায়ক মো. রেজাউর রশিদ খান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. অসিত বরণ রায় ও গণ-আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এএসজি/এমএএস/১৬০৫/-আসচৌ