বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ককে বাণিজ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নের সহযোগিতায় রূপান্তরের প্রত্যয় দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

215

ঢাকা, ১ জুন, ২০২১ (বাসস) : বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়ন সহযোগিতার সম্পর্ককে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নের সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন স্তরে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরিস প্যানে ফোনে আলাপকালে গতকাল এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঠামোগত চুক্তি (টিফা) স্বাক্ষরের বিষয়ে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করে ড. মোমেন বাংলাদেশে জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ প্রদানে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
আইসিটি, টেলিকমিউনিকেশন, পাট ও ব্লু-ইকোনোমিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ১শ’ টি অথনৈতিক অঞ্চল ও ২৮টি হাইটেক পার্কে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগের আহবান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি।
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের দ্রুততম সময়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন তিনি। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে “বাংলাদেশের জন্য সহায়তা” উল্লেখ না করে “মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা” হিসেবে উল্লেখ করার জন্য অনুরোধ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান উল্লেখ করে ড. মোমেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাণী প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের অবদান স্মরণ করেন।