দীর্ঘমেয়াদে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে : মেয়র তাপস

299

ঢাকা, ১ জুন, ২০২১ (বাসস) : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে।
আজকের জলাবদ্ধতা সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘আজকের বৃষ্টিতে যেসব জায়গায় জলজট সৃষ্টি হয়েছে আমরা সেসব স্থানকে পরবর্তী কার্যক্রমে প্রাধিকার দেবো এবং আগামী ২ বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতাকে একটি সহনীয় মাত্রায় আনতে সক্ষম হবো বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের প্রত্যাশা হলো, দীর্ঘমেয়াদে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়া।’
তিনি বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর ২ জানুয়ারি থেকে জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর, কালুনগর খালসহ খালগুলোর শাখা-প্রশাখা এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে ১ লাখ সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টনের অধিক বর্জ্য ও ৬ লখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন পলি অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়া অচল দুটি পাম্প স্টেশন এর তিনটি পাম্প মেশিন সচল করা হয়েছে এবং বাকি ৩টি সচল করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বদ্ধ নর্দমা ও আমাদের উন্মুক্ত নর্দমাগুলো পরিষ্কারের কাজ চলমান রয়েছে এবং এই জুনের মধ্যেই তা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত – এই ৩ ঘণ্টায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এতে বেশ কয়েকটি জায়গায় জলজট হলেও বিগত সময়ের জলজটের পরিমাণ ও স্থান সংখ্যার তুলনায় তা অনেকাংশেই কম। বিগত ৫ মাসে কর্পোরেশনের গৃহীত কার্যক্রম এবং আজ সকাল থেকে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঠ পর্যায়ে তৎপরতার কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুততার সাথে নেমে যায়। সেজন্য তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত কোনো স্থানে তিন ঘণ্টার অধিক পানি জমে থাকাকে জলাবদ্ধতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়। আজকের বৃষ্টিতে আমরা ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় শতভাগ পানি নিষ্কাষণ করতে সক্ষম হয়েছি যদিওবা আমাদের লক্ষ্য হলো ১ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির পানি নিষ্কাষণ করা।’
মেয়র বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমাদের কার্যক্রমের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো দ্রুত আমাদের কাছে হস্তাস্তর করা হোক। তা এখনো হয়নি। এছাড়া ডিএনডি বাঁধ, হাতির ঝিল প্রকল্প, মেট্রোরেলের কার্যক্রমের ফলে জলাবদ্ধতার সম্পূর্ণ সমাধান এখন পর্যন্ত দেয়া সম্ভব না হলেও অতীতের মতো ঢাকাবাসীকে কোথাও কোমর পানি বা গলা পানিতে নাজেহাল হতে হয়নি।’