ডিএনসিসি এলাকায় মশক নিধনে চিরুনী অভিযান শুরু

258

ঢাকা, ১ জুন, ২০২১ (বাসস) : ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসির ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে শুরু হয়েছে মশক নিধনে চিরুনী অভিযান। অযিানকালে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ডোম-ইন্নোকে তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং অনন্ত জলিলের নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডে উদয়াচল পার্ক ও খেলার মাঠে দশ দিনব্যাপী মশক নিধনে চিরুনী অভিযানের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেন পরিচালিত মোবাইল কোর্টে এডিস মশার প্রজনন স্থল ও লার্ভা পাওয়ায় ইকবাল রোডে ডোম-ইন্নোকে নগদ তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং একই এলাকায় অভিনেতা অনন্ত জলিলের নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ারকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরবাসীকে সচেতন এবং এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করার লক্ষ্যে ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ১০ দিনব্যাপী মশক নিধন চিরুনী অভিযানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এসময় তিনি বলেন, করোনাকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারও মৃত্যু না হয়, সেজন্যই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে একযোগে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করতে হবে।
তিনি বলেন, নগরসহ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এবিষয়ে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এডিস মশা, ডেংগু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে নগরবাসীর প্রতি তাঁর আহবান “তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন”।
তিনি এ সময় সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং বেশ কয়েকটি বাসাবাড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে যে সকল বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে সেগুলোতে স্টিকার লাগিয়ে দেন।
মেয়র বলেন, কোন বাসায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে ওয়াসা থেকে হস্তান্তরিত খাল ও স্টর্ম স্যুয়ারেজ লাইন পরিষ্কার করা হচ্ছে। করোনা মহামারীকালে স্বাভাবিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি খাল ও জলাশয় পরিষ্কার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজধানী ঢাকাকে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও অত্যাধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, ডিএনসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব তানভীর সুইটি উপস্থিত ছিলেন।