বাসস দেশ-৯ : করোনায় চট্টগ্রামে ৪ জনের মৃত্যু

116

বাসস দেশ-৯
চট্টগ্রাম-কোভিড
করোনায় চট্টগ্রামে ৪ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম, ১ জুন, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ১৩৫ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সুস্থ হয়ে ওঠেন ৩৭৭ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ৮৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ১৩৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৯ জন ও আট উপজেলার ৪৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৬, সীতাকু-ে ১৩, বোয়ালখালীতে ৫, রাঙ্গুনিয়ায় ৪, ফটিকছড়িতে ৩, রাউজান ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং সাতকানিয়ায় ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫৩ হাজার ৫০৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৪২ হাজার ৬০৬ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৮৯৯ জন।
গতকাল মহানগরীর ২ ও গ্রামের ২ জনের মৃত্যু হয়। এদের একজন পুরুষ ও ৩ জন নারী। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬২২ জন। এতে শহরের ৪৪৪ ও গ্রামের ১৭৮ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৩৭৭ জন। এতে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ৭৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৮০৮ জন এবং বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩৪ হাজার ৯৫৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৭৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১৮৯ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ৪ জনসহ মে মাসে চট্টগ্রামে ৯৮ করোনা রোগির মৃত্যু হয়। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৮ জন মারা যান ৮ মে। মৃত্যুশূন্য ছিল দুই দিন, একজন করে মারা যান পাঁচদিন। গত এপ্রিল মাসে তিন দিন মৃত্যুশূন্য ছিল। পুরো মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। গতকালও আক্রান্তের চেয়ে আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা প্রায় ৩ গুণ ছিল। নতুন আইসোলেশনের চেয়ে করোনামুক্তির ছাড়পত্র গ্রহীতার সংখ্যাও বেশি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৩২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২১ ও গ্রামের ১২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৫ ও গ্রামের ২৩ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৩টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩টিসহ ১৭টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩২টি নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ৭টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ২৫টিতে, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭টিতে এবং মেডিকেল সেন্টারে ৫টি নমুনায় শহরের ২টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এদিন চট্টগ্রামের ৪৮ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ল্যাবে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৩১ শতাংশ, চবিতে ২৩ দশমিক ৪৫, সিভাসু’তে ১৩ দশমিক ৮২, চমেকে ০ শতাংশ, আরটিআরএলে ৪০ দশমিক ৬২, শেভরনে ১৮ দশমিক ১১, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ দশমিক ১৪, মেডিকেল সেন্টারে ৪০ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১৪১০/-আসাচৌ