বাসস দেশ-৩০ : স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বিশেষ উদ্যোগ দরকার-সিপিডি

146

বাসস দেশ-৩০
সিপিডি-বাজেট প্রস্তাবনা
স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বিশেষ উদ্যোগ দরকার-সিপিডি
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২১ (বাসস) : আগামী অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, কৃষি ও এসএমই খাতে সাহায্য করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব না দিয়ে জীবন ও জীবিকার উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সিপিডির পক্ষ থেকে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির বিশ্লেষণ তুলে ধরেন সংস্থাটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, দেশে কর আহরণের দিকে বেশ ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে। জুলাই-এপ্রিল সময়ে প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে। তবে রাজস্ব আহরণে ইতিবাচক ধারা দেখা গেলেও বাজেট বাস্তবায়ন পিছিয়ে রয়েছে। রাজস্ব সংগ্রহের তুলনায় সরকারে ব্যয় হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, শিল্প খাতের উৎপাদন কমেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগও কম। তবে এই সময়ে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, কিন্তু করোনার আগের অবস্থায় যায়নি। তবে কোভিডের মধ্যে রপ্তানি বৃদ্ধিকে ইতিবাচক প্রবণতাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিপিডির সুপারিশমালা তুলে ধরে তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান কর কাঠামোতে নতুন কর আরোপ করা বা উচ্চ কর আরোপের সুযোগ নেই। যাওয়াও ঠিক হবে না। তবে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে হবে। এজন্য কর ফাঁকি রোধ করতে হবে। অর্থপাচার রোধ করতে হবে। একইসঙ্গে শিক্ষা, কর্মসংস্থানমুখী কার্যক্রমে গুরুত্ব দিতে হবে। এদিকে সিপিডি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে আরও মনোযোগী হওয়ার সুপারিশ করেছে। বিশেষ করে চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ। যেসব প্রতিষ্ঠান বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদের প্রস্তুতি দরকার।
তৌফিকুল ইসলাম চাল, আটা, ভোজ্যতেল, চিনির বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে জিডিপির ৩ শতাংশ রাখার কথা সরকার বলছে। কিন্তু সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে পেনশনসহ আরও অনেক বিষয় রয়েছে সেগুলো সরাসরি দরিদ্র মানুষের সাথে সম্পর্কিত নয়। এসব বাদ দিলে প্রকৃত সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ দাঁড়ায় জিডিপির দেড় শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গড়ে ৪ শতাংশ। ফলে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকা দরকার। এটা থাকলে নতুন করে যারা দরিদ্র তাদের সুরক্ষা দেওয়া সহজ হত। এজন্য এ খাতে কমপক্ষে জিডিপির ৪ শতাংশ বরাদ্দ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বক্তব্য রাখেন।
বাসস/এএসজি/আরআই/১৯২৫/কেকে