ভাসানচর থেকে পাচারকালে ১০ রোহিঙ্গা নারী-শিশুসহ ৩ দালাল আটক

208

চট্টগ্রাম, ৩১ মে ২০২১ (বাসস) : নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা ৩ শিশুসহ ১০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় রোহিঙ্গাদের পালাতে সাহায্যকারী দালাল চক্রের ৩ সদস্যকেও আটক করা হয়।
সোমবার বিকেলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাত নারী ও তিন শিশুসহ তিন দালাল ভাসানচর থেকে মিরসরাই ইকোনমিক জোনে জোরারগঞ্জ থানার সীমানায় নৌকা থেকে নামে রবিবার (৩০ মে) মধ্যরাতে। সেখানে আমাদের পুলিশ ক্যাম্প ছিল। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা নিয়ে সাত রোহিঙ্গা নারীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে মিরসরাই ইকোনমিক জোনে নামিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে তিন দালাল। সাত নারীর ছয়জনই অবিবাহিতা। বিবাহিত নারী তিন সন্তানের জননী এবং তার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী।
তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা নারীরা জানিয়েছে তারা জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালালের হাতে তুলে দিয়েছিল। তাদেরকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
আটক তিন দালাল হলো সন্দ্বীপের দিদারুল আলম, নোয়াখালী সুবর্ণচরের বেলাল হোসেন ও মো. জুয়েল। মানবপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আটক ৭ রোহিঙ্গা নারী হলো কহিনা আক্তার (৩২), নূরজাহান বেগম (২০), রেহানা আক্তার (১৯), আছিয়া বেগম (১৮), মিনারা বেগম (২০), মনিয়া বেগম (২০) ও নূর খাইয়াছ (২৫)। সঙ্গে ছিল কহিনা আক্তারের তিন সন্তান জিসান (১০), জান্নাতুল নাঈমা (৮) জেসমিন আক্তার (১২)।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার মুখে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে। সম্প্রতি কিছু রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকেই পাচার হচ্ছিল এই রোহিঙ্গা নারীরা।