বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ : স্থানীয় প্রশাসনকে কোভিডের কারণে প্রয়োজনে লকডাউন দেয়ার ক্ষমতা প্রদান

133

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১
শেখ হাসিনা-মন্ত্রিসভা-লকডাউন
স্থানীয় প্রশাসনকে কোভিডের কারণে প্রয়োজনে লকডাউন দেয়ার ক্ষমতা প্রদান
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২১ (বাসস) : মন্ত্রিসভা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আশংকাজনক হলে স্থানীয় প্রশাসনকে পুরো জেলায় বা এর কিছু অংশে লকডাউন ঘোষণার ক্ষমতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ সম্পর্কে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের জন্য দেশের যে স্থান ঝুঁকিপূর্ণ বা হার্মফুল সেখানে লকডাউন দেওয়ার জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এরআগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্র্রিপরিষদ সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
করোনা সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির কয়েকটি জেলায় লকডাউনের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অলরেডি ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), সিভিল সার্জন, চেয়ারম্যান বা মেয়রদের বলেই দেওয়া আছে যদি তারা মনে করেন, কোনো জায়গা ঝুঁকিপূণ, সেক্ষেত্রে তাদের সুবিধা অনুযায়ী তারা এটা করে দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ইচ্ছা করলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করতে পারবে। তাদেরকেও আগেই বলে দেওয়া হয়েছে। যেমন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এটা কিন্তু ওখান থেকেই সাজেশন এসেছে।
‘আমরা অন্যান্য জেলাকে বলে দিয়েছি, যদি মনে করে পুরো জেলা না করে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকা লকডাউন করতে হবে, সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে। যেভাবে তারা পরামর্শ দেবেন,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কেবিনেটও ওই কথাই বলেছে। একটা লকডাউন চলছে। আর যদি কোনো লোকাল জায়গায় কোনো রকম মনে হয়। যেমন-গতবছরও আমরা কোনো কোনো জায়গায় (লকডাউন) করেছি। এটার জন্য অসুবিধা হবে না।
কিছু জেলার অক্সিজেন সংকট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইতিমধ্যে ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, জেলাগুলোয় যেন তাড়াতাড়ি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। আইসিইউ এবং হাই ফ্লো অক্সিজেন কিভাবে করা যায় অথবা মেডিক্যাল কলেজগুলোতে সিরিয়াস পেশেন্টগুলোকে আগে শিফট করার চেষ্টা করেন। আর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হলে তাহলে আলাদা রাখার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আরেকটা বিষয় আছে। এটা বারবার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং পুরো ক্যাবিনেট। আপনারা বারবার অনুরোধ করছেন কিন্তু তারপরও দেখা যায় অনেক লোক মাস্ক পরেন না। এটা তো আমাদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলছি, এটা কমিউনিটি ডিজিস। আমাদের সবাইকে যার যার জায়গা থেকে আরও কেয়ারফুল হওয়ার সুযোগ আছে। আমরা যদি সবাই মাস্ক ব্যবহার করি, স্যানিটাইজার ব্যবহার করি নিশ্চয়ই এটা কমে যাবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এর মধ্যে আমার কয়েকটা ঘটনা নলেজে এসেছে-মসজিদে গিয়ে ৪-৫ জন নামাজ আদায় করছেন, ৪-৫ জন মেয়ের বাসায় গিয়ে বিয়ে পড়িয়ে বউ নিয়ে এসেছেন। আমরা এর প্রশংসা করি এবং ধন্যবাদ জানাই, যারা এ কাজগুলো করছেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ভারত থেকে যারা আসছেন তারা সবাই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন। এমনকি আমাদের দু-জন খেলোয়াড়-সাকিব (ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান) এবং মুস্তাফিজ (ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান)। তারা ভালো কো-অপারেট করেছে। এজন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই-সাকিব এবং মুস্তাফিজকে।’
বাসস/এএসজি-এফএন/এমএকে/১৮০০/আরজি