বাসস দেশ-৭ : শেরপুুুুুুুুুুুুুুুুুুুরে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে থাকছে না ম্যানুয়াল পদ্ধতি

85

বাসস দেশ-৭
ভূমি উন্নয়ন কর
শেরপুুুুুুুুুুুুুুুুুুুরে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে থাকছে না ম্যানুয়াল পদ্ধতি
শেরপুর, ৩০ মে, ২০২১ (বাসস) : আগামী জুলাই থেকে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে থাকছে না ম্যানুয়াল পদ্ধতি। ফলে ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে জমির মালিক ভূমির খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) পরিশোধ করতে পারবেন। এ জন্য ১০টি মডিউলসমৃদ্ধ ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি (এলআইএমএস) নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এ সফটওয়্যারের আওতায় অন্য মডিউলগুলো হচ্ছে- ভূমি নামজারি ব্যবস্থাপনা, ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা, ভূমি নামজারি পর্যালোচনা ব্যবস্থাপনা, ভূমি মিস কেস ব্যবস্থাপনা, বাজেট ব্যবস্থাপনা, খাজনা সনদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অন্যতম। এরই মধ্যে সবকটি পদ্ধতিই প্রস্তুত করা প্রায় শেষ। ভূমি সেবার বাকি কার্যক্রমগুলো পর্যায়ক্রমে এর আওতায় আসবে বলে জানা গেছে। ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো স¦য়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
এর ধারাবাহিকতায় ভূমি উন্নয়ন কর বা জমির খাজনা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম শুরু করেছে শেরপুরের জেলা প্রশাসন। আগামী ৩০ জুন থেকে প্রচলিত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে আর ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হবে না।
ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার। যার মাধ্যমে জমি নিয়ে ভোগান্তি, হয়রানি, অনিয়ম, দুর্নীতি স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে। জমি বেচাকেনা, রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, জমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, খাস বা পরিত্যক্ত জমি-পুকুর ইজারা গ্রহণ, হাটবাজারের ভিটি ইজারা, ওয়ারিশান জমি হস্তান্তর, জমি বন্ধক কোনো কিছুতেই আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ভূমি মালিক ঘরে বসেই কম্পিউটারের মাধ্যমে অতি সহজেই এসব কাজ নিষ্পন্ন করতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই ওয়ানস্টপ সেবা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে এ পদ্ধতির পাইলট প্রকল্প সফলতার সঙ্গে শেষ হওয়ায় সরকার এখন ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। ভূমিকেন্দ্রিক নানা সেবা ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ই-পর্চা (খতিয়ান), ই-নামজারি (ই-মিউটেশন) ও ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) তথা জমির খাজনা। জমির অন্য সেবাগুলো পর্যায়ক্রমে অনলাইন সেবার আওতায় আসবে। ফলে নাগরিকরা তার জমি সম্পর্কিত কর ও ভূমি ব্যবস্থাপনা সেবার যেকোন ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহ্বুব জানান, চলতি বছরের আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই শেরপুর জেলার ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজেশনের কাজ শেষ করা হবে, আর জুলাই মাস থেকে কোনো ভূমি মালিককে ভোগান্তি পোহাতে হবে না; হতে হবে না হয়রানির শিকার। ফলে বাড়বে কর আদায়ের পরিমাণ। প্রত্যেক নাগরিক তার ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ থেকে শুরু করে ভূমি ব্যবস্থাপনার সব কাজ ঘরে বসেই নিজেই নিশ্চিন্ত মনে করতে পারবেন। এটি হবে মুজিববর্ষে সরকারের সবচেয়ে বড় সফলতা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৪০৫/নূসী