বাসস দেশ-৩২ : খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা এফএও মহাপরিচালকের

206

বাসস দেশ-৩২
এফএও-খাদ্য নিরাপত্তা
খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা এফএও মহাপরিচালকের
ঢাকা, ২৯ মে ২০২১ (বাসস) : বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক চু ডংইউএফএও।
বিশ্বের শীর্ষ দশটি জনবহুল দেশের একটি হওয়ার পরও বাংলাদেশের ১৬৫ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন এফএও মহাপরিচালক চু ডংইউ।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (এফএও) স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে এফএও মহাপরিচালক গতকাল এ মন্তব্য করেন।
এফএও মহাপরিচালক বলেন, বিশ্বের শীর্ষ দশটি জনবহুল দেশের একটি হওয়ার পরও বাংলাদেশের ১৬৫ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন “আমরা বাংলাদেশ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি, কারণ তাদের সমাধানগুলো সাশ্রয়ী এবং বাস্তবায়ন সহজ”।
রাষ্ট্রদূত আহসান এফএও এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের অর্জন সর্ম্পকে তার উচ্চ ধারনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত এফএও-কে, আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন। ৪০ বছরের অধিক সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টিমান নিশ্চিতকরণে, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের কৃষিখাতের রূপান্তরিত পরিকল্পনায় এফএও-এর সক্রিয় সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এন্টি-মাইক্রোবিয়াল রেসিসট্যান্স বিষয়ক একক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আন্তর্জা্তকি নেতৃত্বের ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কো-চেয়ার হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করায় মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধকল্পে আঞ্চলিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ গত প্রায় চার বছর ধরে ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারনে আশ্রয় প্রদান করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়ন, কৃষি উ পাদন বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের আয় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এফএও এর গুরুত্বর্পূণ ভূমিকার জন্যে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রথমবারের মত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এফএও আঞ্চলিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে মহাপরিচালককে আমন্ত্রন জানান, যা তিনি সাদরে গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ এবং এফএও আগামী দিনগুলোতে পৃথিবীব্যাপী ক্ষুধা ও দারিদ্র মোকাবেলার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারনেঅনুষ্ঠানটি জুম প্লাটর্ফমে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর ও রোমভিত্তিক জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মানস মিত্র এবং কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান শিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এবং এফএও থেকে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমআর/২১৪২/স্বব