বাসস দেশ-৩০ : চলন্ত বাসে তরুণীকে পাশবিক নির্যাতন : পাঁচজন তিনদিনের রিমান্ডে

204

বাসস দেশ-৩০
তরুণী পাশবিক নির্যাতন-রিমান্ড
চলন্ত বাসে তরুণীকে পাশবিক নির্যাতন : পাঁচজন তিনদিনের রিমান্ডে
ঢাকা, ২৯ মে, ২০২১ (বাসস) : আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে (২২) দলবদ্ধ পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার ছয় আসামির মধ্যে পাঁচজনের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার অন্য আসামি সুমন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার ছয় আসামিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা রিমান্ডের এ আদেশ দেন। অন্যদিকে আসামি সুমন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদে দেন বিচারক।
চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) পুলিশের পরিদর্শক মেসবাহ উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছে- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগের মো. আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনা এলাকার সাজু (২০), বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সুমন (২৪) ও একই এলাকার সোহাগ (২৫), বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামঘর এলাকার মনোয়ার (২৪)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতো।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। গতকাল (শুক্রবার) তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার জন্য তিনি বাসে ওঠেন। রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে তাকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় বাসের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত ৮টার দিকে নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাসের চালকের সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে টঙ্গী স্টেশন রোডের কথা বলে তার কাছে ৩৫ টাকা ভাড়া চান। তিনি মিনিবাসে উঠলে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই বাসের অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়।
এরপর চালক বাসটি নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে রওনা হন। এ সময় বাসের জানালা ও দরজা আটকে বাসের চালক ও সহকারীসহ ছয়জন মিলে ওই নারীকে পাশবিক নির্যাতন করেন। টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই ছয়জনকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ওই ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই নারী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তিনি সেখানে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তার স্বামীর বাড়ি লালমনিরহাটে।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/২১০৫/কেকে