জাপানি প্রতিষ্ঠান মারুবেনি মনে করে, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নশীল একটি আকর্ষণীয় বাজার

878

ঢাকা, ২৯ মে, ২০২১ (বাসস) : জাপানি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী মারুবেনি কর্পোরেশন বাংলাদেশকে সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল, ব্যাপক সম্ভাবনাময় এবং আকর্ষণীয় বাজার হিসেবে মূল্যায়ন করেছে।
এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বাংলাদেশে উন্নত মানসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে তারা মনোনিবেশ করছে।
এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাপানি প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত ফেনীতে ১০০ মেগাওয়াট সোলার পিভি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উন্নয়নে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইজিসিবি) সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
বাসস এর সঙ্গে আলাপ কালে মারুবেনি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড হিকারি কাওয়াই বলেন, মারুবনি ১৯৫০-এর দশকে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন এবং শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের যথাযথ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এখানে ব্যবসা করে আসছে। তিনি বলেন, এই মূলমন্ত্র নিয়ে আমরা বর্তমানে উন্নত মানের, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন, পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে মূল্য সংযোজন এবং আইসিটি শিল্পের প্রবৃদ্ধির ওপর মনোনিবেশ করছি।
তিনি জানান, সম্প্রতি তারা ফেনীতে ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ইজিসিবির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে এবং এই প্রকল্পটি তাদের দূরদৃষ্টির ব্যবসায়ের একটি উদ্যোগ।
হিকারি কাওয়াই জানান, মারুবেনি কর্পোরেশন বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেন, আমাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক থেকে সংগৃহীত তথ্য বিচার করে আমরা মূল্যায়ন করি যে বাংলাদেশ সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নশীল, ব্যাপক সম্ভাবনাময় এবং আকর্ষণীয় বাজারগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি অবশ্য বলেন, তারা জানেন যে কোভিড, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল রপ্তানি ও আমদানি পদ্ধতি, জটিল নিয়ম কানুনের মতো বেশ কয়েকটি উদ্বেগ এবং সমস্যা রয়েছে। তবে মারুবেনি মনেকরে করে এখানের সম্ভাবনা ও আকর্ষণ এই উদ্বেগ এবং বিষয়গুলোকে অতিক্রম করে গেছে।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির উচ্চ সম্ভাবনা, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ, উদ্ভূত বিশাল সুযোগ এবং স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সম্পর্কই দেশে বিনিয়োগের প্রধান কারণ। এখানে ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের বাইরের বিভিন্ন কোম্পানির সহযোগিতা ও সহায়তা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে ইতিবাচক ও শক্তিশালী সমর্থন পাওয়ার জন্য বিস্তারিত ও স্বচ্ছ তথ্যের ব্যবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিস্তারিত এবং স্বচ্ছ তথ্য প্রকাশকে সবচেয়ে বেশি উন্নত করা দরকার। এসময় হোলি আর্টিজান হামলার পর নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সুদৃঢ় প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি।
হিকারি কাওয়াই বলেন, সৌভাগ্যক্রমে হামলার পর থেকে আমরা গুরুতর কোন সমস্যার সম্মুখীন হইনি। তবে এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা আমাদের এখনও মনে আছে, এভাবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং আমরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অধীর আগ্রহে নিরন্তর সমর্থনের জন্য অনুরোধ করছি।