বাসস দেশ-৬০ : চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহ করবে সরকার

129

বাসস দেশ-৬০
ক্রয় কমিটি-সভা
চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহ করবে সরকার
ঢাকা, ২৭ মে, ২০২১ (বাসস) : দেশে করোনা ভাইরাস টিকার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সরকার চীন থেকে প্রায় দেড় কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ১৯ তম সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সাহিদা আখতার বলেন, চীনের সিনোফার্ম থেকে এই দেড় কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সংগ্রহের আশা করছি।
ড. সহিদা জানান, বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রস্তাবের জবাবে অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি ক্রয় আইন ও সরকারি ক্রয় বিধিতে কোথায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা যেতে পারে তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
তিনি বলেন, কমিটি পিপিএ এবং পিপিআর পুনর্বিবেচনার পর সিসিজিপি’র সামনে তাদের সুপারিশ পেশ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে, যার অধীনে বাপেক্স ভোলাতে তিনটি কূপ খননের জন্য রাশিয়ার গাজপ্রম থেকে পরিসেবা গ্রহণ করবে। এতে প্রায় ৬৪৮.৩৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্যাজপ্রম একটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত সংস্থা এবং আশা করি বাপেক্সের সঙ্গে এই উদ্যোগ সফল হবে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, সিসিজিপি’র পরবর্তী বৈঠকের পর তিনি বিষয়টি ব্যাখ্যা করবেন।
জাতীয় বাজেটের প্রধান বেশিষ্ট্য সম্পর্কে আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ৩ জুন সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করা হবে। বাজেট পেশ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, পরবর্তী বাজেটের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হবে সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের স্বার্থ বাঁচানো।
কামাল বলেন, সব শ্রেণির মানুষের স্বার্থ, বিশেষ করে পিছিযয়ে পড়া এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠির স্বার্থ বিবেচনা করে পরবর্তী বাজেট তৈরি করা হচ্ছে।
এদিকে, ড. সহিদা বলেন, সিসিজিপি বৈঠকে আজ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রস্তাব ঠিক হয়েছে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের প্রবেশপথে এক্সেল লোড কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপনের প্রকল্পের আওতায় ৪৬ কোটি ৯২ লাখ টাকায় এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল পিটি লিমিটেড, অস্ট্রেলিয়া, সুইডিশ ন্যাশনাল রোড কনসাল্টিং এবি, সুইডেন, এসিই কনসালট্যান্টস লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয় যার আওতায় বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জি থেকে জি ভিত্তিতে ৬৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফ্রান্সের থেলস থেকে সিএনএস-এটিএম (যোগাযোগ, নেভিগেশন ও নজরদারি এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) সিস্টেম এবং রাডার সংগ্রহ করবে।
বাসস/জিএম/এসই/২২০০/এবিএইচ