শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় দন্ডিত ৭ আসামির জামিন স্থগিত

139

ঢাকা, ২৭ মে, ২০২১ (বাসস) : ২০০২ সালে সাতক্ষীরায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাতজনকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার কোর্ট বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত আজ এ আদেশ দেয়। একইসঙ্গে শুনানির জন্য আগামী রোববার ৩০ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোরও আদেশ দিয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর।
মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সাত্তারসহ সাতজনকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট। জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করতেও বলা হয়েছে। জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- গোলাম রসুল, আব্দুস সামাদ, আব্দুস সাত্তার, জহুরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম।
২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে শ্রীলতাহানি করা হয়। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহর পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন।
ওইদিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রাকিবুরের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনে একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করে। গত বছরের ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাকিব। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং অন্য আসামিদের বিভিন্ন দন্ড দিয়ে রায় দেয়।