সাফ ফুটবল আয়োজনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ

243

ঢাকা, ৩১ আগস্ট ২০১৮ (বাসস) : তৃতীয়বারের মতো সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ। সাফ-এর ব্যবস্থাপনায় ও সুজুকির পৃষ্ঠপোষকতায় ‘সাফ সুজুকি কাপ-২০১৮’-এর স্থানীয় আয়োজক সংস্থার (এলওসি) পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টুর্নামেন্টের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে (বাফুফে) অনুষ্টিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খেলোয়াড়দের আবাসন, অনুশীলন এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের আবাসনসহ সব প্রস্তুতি সম্পাদিত হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির কারণে প্রচার-প্রচারণায় কিছুটা বেগ পেতে হলেও এখন পুরো দমে তা শুরু করা হয়েছে।
আগামী ৪ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সাত-জাতির এই টুর্নামেন্ট। অংশগ্রহণকারী দলগুলো হচ্ছেÑ ভারত, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।
দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সার্কভুক্ত দলগুলো টুর্নামেন্টের প্রাথমিক পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দল সেমি-ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ।
প্রতিটি ম্যাচের জন্য টিকিটের মুল্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। মূল্য হবে যথাক্রমে ১০০, ৫০ ও ২০ টাকা। তবে বেশীর ভাগ টিকিটই সৌজন্য টিকিট হিসেবে বিতরণ করা হবে ফুটবল সংস্লিষ্ট বিভিন্ন ক্লাব ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের। স্বল্পসংখ্যক টিকিট সাধারণ দর্শকের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এলওসি প্রধান মুর্শেদী বলেন, যেহেতু ফুটবলের দর্শক সংখ্যা কমে গেছে তাই মাঠে অধিকসংখ্যক দর্শক উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্যই ক্রীড়া সংস্থা ও ক্লাবগুলোকে টিকিট দেয়া হচ্ছে। এতে তারা যেমন খুশি হবেন, তেমনি ফুটবলের প্রতি ভালবাসার কারণে ছুটে আসবেন মাঠে। অবশ্য সৌজন্য টিকিট নিয়ে ক্লাবও সংস্থা কেন্দ্রীক ক্রীড়ামোদীরা মাঠে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে তাদের খালি আসনের বিপরীতে সাধারণ দর্শকদের কাছে অধিক হারে টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।
মুর্শেদী বলেন, টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশ একটি মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেও দলটি সঠিক পথেই এগুচ্ছে। যদিও নীলফামারীতে একমাত্র ওই প্রস্তুতি ম্যাচে সফরকারী শ্রীলংকা জাতীয় দলের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে স্বাগতিকরা।
আসন্ন আসরে বাংলাদেশ শিরোপা জয়ের জন্য লড়াই করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে এ জন্য খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সের পাশাপাশি ভাগ্যেরও সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। ভাগ্য যদি সহায় হয়, তাহলে ২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ আরো একবার টুর্নামেন্টের শিরোপা জয় করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
আয়োজক কমিটির সদস্য মো. শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর ও মো. ইলিয়াছ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।