বাসস দেশ-১৭ : আক্রান্তের চেয়ে চট্টগ্রামে করোনামুক্ত বেশি

84

বাসস দেশ-১৭
চট্টগ্রাম-করোনা
আক্রান্তের চেয়ে চট্টগ্রামে করোনামুক্ত বেশি
চট্টগ্রাম, ২৬ মে, ২০২১ (বাসস) : করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগির সংখ্যা বেশি। এ সময়ে আরোগ্যলাভ করেন ১৫০ জন ও আক্রান্ত হন ১৩৬ জন। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। দুই করোনা রোগির মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের ৮৫ জন এবং ১০ উপজেলার ৫১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাঙ্গুনিয়ায় ১০, ফটিকছড়িতে ৯, সীতাকু-ে ৮, রাউজানে ৬, হাটহাজারীতে ৫, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৪ করে, মিরসরাইয়ে ৩ জন, সাতকানিয়া ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৭২ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৪২ হাজার ২০১ ও গ্রামের ১০ হাজার ৬৭১ জন।
গতকাল করোনায় শহরের ও গ্রামের একজন করে মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৬০৪ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৪৩৫ জন ও গ্রামের ১৬৯ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ১৫০ জনকে। ফলে জেলায় মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৯ হাজার ২৬২ জনে। এদের ৫ হাজার ৬১৯ জন হাসপাতালে ও ৩৩ হাজার ৬৪৩ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩৮ জন ও ছাড়পত্র নেন ৬৫ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৩৪৯ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকালের দুই জনসহ চলতি মে মাসের ২৫ দিনে চট্টগ্রামে ৮০ করোনা রোগির মৃত্যু হয়। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৮ জন মারা যান ৮ মে। মৃত্যুশূন্য ছিল একদিন, ২১ মে। একজন করে মারা যান চারদিন। গত এপ্রিল মাসে তিনদিন মৃত্যুশূন্য ছিল। পুরো মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। গতকালও আক্রান্তের চেয়ে আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা অনেক বেশি এবং নতুন আইসোলেশনের চেয়ে করোনামুক্তির ছাড়পত্র গ্রহীতাও বেশি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৯ জন ও গ্রামের ৮ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২২ ও গ্রামের ৮ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৫ জন ও গ্রামের ২৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৩টি নমুনায় শহরের ২টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৭টিসহ ৩৩টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৪টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৩৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ৩টির পজিটিভ এবং বাকীগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে। এদিন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং মেডিকেল সেন্টারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৬ দশমিক ০৪, চবিতে ২৫ শতাংশ, চমেকে ১৫ দশমিক ৩৮, আরটিআরএলে ১৬ দশমিক ১৩, শেভরনে ১২ দশমিক ০৪, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭ দশমিক ৬৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাসস/জিই/কেএস/১৫২৫/আসাচৌ