বাসস দেশ-৬৮ : পটুয়াখালীতে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত : ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত

168

বাসস দেশ-৬৮
ইয়াস-প্লাবিত
পটুয়াখালীতে ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত : ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত
পটুয়াখালী, ২৫ মে, ২০২১ (বাসস) : ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জেলার কলাপাড়ার লালুয়ায় বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চ জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ৯ টি গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। এতে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে ওইসব গ্রামের প্রায় ৮ হাজার মানুষ।
রাঙ্গাবালী উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের সকল নি¤œাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ ৭ টি গ্রাম ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া চর মোন্তাজ ইউনিয়নের চর আন্ডার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে পানি বন্ধী হয়ে পরেছে প্রায় সহস্্রাধিক মানুষ। এতে ওইসব এলাকার মানুষের রান্নাসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কয়েকশ’ পুকুর ও ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। রাতের জোয়ারের পানির চাপ আরও বাড়তে পারে বলে শংকায় রয়েছেন ওই এলাকার মানুষ।
এদিকে কলাপাড়ার নীলগঞ্জের ইউনিয়নের বিধ্বস্ত নীচকাটা স্লুইজ ভেঙে যে কোন সময় প্লাবিত হতে পারে অন্তত ১২ টি গ্রাম। এতে পানি বন্ধী হওয়ায় শংকায় রয়েছে ১২ হাজার মানুষ।
দুর্গত এসব মানুষের নিরাপদ আশ্রয়সহ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গাবালি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসফাকুর রহমান ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক।
বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে এবং নৌযান ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বিকেল ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসক দরবার হলে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমূহের স্ব-স্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করে বক্তব্য রাখেন- জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার ডা. তনিমা রহমান রুনা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্ল্যাহ, জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন, গণস্বাস্থ্য প্রকৌলী মো. ফয়েজ আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী প্রমুখ।
জেলার ৮ টি উপজেলায় ৮০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত এবং জিআর নগদ অর্থ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ইউনিয়নওয়ারী ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১৯ লাখ টাকা, জিআর নগদ অর্থ কালবৈশাখী উপজেলা ওয়ারী ৬৫ হাজার টাকা করে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, জিআর নগদ অর্থ কোভিড /দুর্যোগ ইউনিয়ন ওয়ারী ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য উপজেলা ওয়ারী ১ লাখ করে ৮ লাখ টাকা, গো-খাদ্য ১ লাখ টাকা করে ৮ লাখ টাকা সরবরাহ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম জানান। এ ছাড়াও ৯৩টি মেডিকেল টিম ও সাত হাজার অধিক ভলান্টিয়ার নিয়োজিত আছে বলেও জেলা প্রশাসক জানান।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/২৩০০/কেজিএ