বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুত ৯৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্র

340

বাগেরহাট, ২৪ মে ২০২১ (বাসস): জেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবিলায় ৯৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূণিঝড়ের সময় করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় তিনলাখ লোকের থাকাসহ গবাদিপশু রাখা যাবে।
একই সাথে এসব আশ্রয় কেন্দ্রেরাখা হয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ পর্যাপ্ত পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর ও জেলার ৯টি উপজেলাসহ পুলিশ, মোংলা বন্দর, কোস্টাগার্ড, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিস ও পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগ জরুরী সেবা দিতে কন্টোল রুম চালু করেছে। পাঁচহাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।
এছাড়াও, জেলা ৯টি উপজেলায় পাঠানো হয়েছে এককোটি ৮৭লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ২৮ মেট্রিক টন শুকনা খাবার। প্রতি উপজেলায় শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্য কেনার জন্য আলাদাভাবে দুইলাখ টাকা করে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় জনগণকে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, দিয়াশলাই ও ঝড়ের সময় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি রাখার অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি উদ্ধার তৎপরতা চালাতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ সদস্যরা যানবাহন প্রস্তুত রেখেছেন। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় শুরুর আগেই সবাইকে নিটকবর্তী আশ্রয়ক্রেন্দ্র যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গপসাগর থেকে বাগেরহাটের লোকালয়ে ফিরতে শুরু করেছেন মাছধরা ট্রলার ও জেলেরা। সোমবার ভোর থেকে তারা উপকূলীয় বিভিন্ন খালে ও নদীতে আশ্রয় নিয়েছেন জেলে ও মাঝিরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, বাগেরহাট উপকূলীয় জেলা হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শরণখোলা, মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলাসহ জেলায় ৯৭৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনে আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলোও আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানি ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে।
আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ওয়ার্ড পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।