বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : জলবায়ু ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচাতে কমনওয়েলথের ভূমিকা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

130

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-কমনওয়েলথ-রাউন্ডটেবিল
জলবায়ু ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচাতে কমনওয়েলথের ভূমিকা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদানকে এই সব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসের সর্বোত্তম কৌশল হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী সকলের প্রতি গৃহহীনদের আশ্রয় প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
সিভিএফ এর চেয়ার শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রজন্ম এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীগুলোর জন্য সমতা-ভিত্তিক, সহনশীল ও সবুজ প্রাকৃতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ব্যবহার না করা পর্যন্ত ‘বাস্তবিক অর্থে প্রকৃতির বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে আমরা হেরেই যাব।’
তিনি আরো বলেন, বিশ্ব আজ এক নজিরবিহীন মহামারি পরিস্থিতি অতিবাহিত করছে এবং এই বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে-বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।
এই বৈশ্বিক মহামারি স্বাস্থ্যের চেয়েও বেশি সংকট ডেকে এনেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর এ জন্যই আমার সরকার জীবন ও জীবিকার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে নীতিমালা গ্রহণ করেছে।’
‘মাদার নেচার’ শীর্ষক আজকের এই রাউন্ডটেবিল বৈঠকের আহ্বান করায় প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স অব ওয়ালেসকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের টেরা কার্টা সাসটেইনেবল মার্কেটস উদ্যোগ; একতা, লক্ষ্য, টেকসই ও স্থায়িত্ব এবং সমন্বিত কার্যক্রমে আপনাদের নেতৃত্ব এবং কোপ২৬ ও অন্যান্য সংগঠনে আমাদের কমনওয়েলথ এর বিভিন্ন সমন্বিত পদক্ষেপের প্রতি বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে সংহতি প্রকাশ করছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ডিউক অব এডিনবরা ও রক্ষণশীল হিসেবে তার উত্তরাধিকারের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন, যিনি বিচক্ষণতার সাথেই বলেছিলেন, যদি প্রকৃতিই টিকতে না পারে, তবে মানবজাতিও টিকতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ এই মহামারির বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের যাত্রা অব্যহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশ ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি বছর, অভিযোজন ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় টেকসই জলবায়ু সহনশীল ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে প্রায় ৫ শ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশব্যাপী ৩০ কোটি বৃক্ষ রোপণের পরিকল্পনা করেছি এবং কম-কার্বনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ প্রণয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। এছাড়াও, এই পরিকল্পনার আওতায় ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি কম কার্বণ নিঃসরণ এবং ৪০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদনে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’
বাংলাদেশ ২০২১ সালের জুন মাস নাগাদ গুণসম্পন্ন এবং উচ্চাভিলাষি এনডিসি পেশ করতে পারবে বলে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সার্বিক টেকসই অর্থনীতির অংশ হিসেবে টেকসই ফ্যাশন ও টেক্সটাইলের জন্য কার্যকর বিকল্প খুঁজছে।
চেয়ার অব দ্য ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম) এবং সাউথ এশিয়ান আঞ্চলিক অফিস জিসিএ’র আয়োজক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ ও স্থানীয়ভাবে কিভাবে এই অভিযোজন সমাধান করা হয়েছে-তা তুলে ধরছেন। পাশাপাশি, নদী ভাঙ্গনের কারণে বাস্তুচ্যূত মানুষের পুনর্বাসন এবং অনিশ্চিত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগসহনশীল ও টেকসই গৃহ নির্মাণ করেছেন।
বাসস/এএইচজে/অনু-কেএটি/১৯৪৫/-আরজি