বাসস দেশ-৩ : ব্রাসেলসে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ অর্জনের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন

111

বাসস দেশ-৩
বঙ্গবন্ধু-বিশ্ব শান্তি
ব্রাসেলসে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ অর্জনের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন
ঢাকা, ২৪ মে ২০২১(বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঐতিহাসিক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদানের ৪৮তম বার্ষিকী বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেলসে ভার্চুয়ালি উদযাপন করা হয়েছে।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে এ পদক প্রদান করে।
সেখানকার সময় অনুযায়ি গতকালের এ অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটি নিবেদিত ও বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রযোজিত ‘বিশ্ব শান্তির দূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ইউটিউব থেকে সংগৃহীত ‘বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্তি’ শীর্ষক দু’টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে উল্লেখ করেন বলে ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়।
সালেহ বলেন, তিনি সব সময় বাঙালি জাতিকে সঙ্গে নিয়ে অহিংস পথে অধিকার আদায়ের
আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। বিশ্ব শান্তির বিষয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর দর্শনের প্রসঙ্গ আলোচনা করে বঙ্গবন্ধু গৃহীত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি- ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এই বিষয়টির উপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত সালেহ বলেন, ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক রেজ্যুলেশন প্রর্বতনের মাধ্যমে সংস্থাটির প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রতি বছর শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়, যা বঙ্গবন্ধুর শান্তির র্দশনের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
অনুষ্ঠানে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ব শান্তি ও অহিংস আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তির অগ্রনায়কে পরিণত হন। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর মানবতাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী আর্দশ এবং ১৯৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের অংশগ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্থানীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজন করা হয।
বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গসহ ইউরোপের অন্যান্য কয়েকটি দেশ হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিবর্গ এ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বাসস/ সবি/এমআর/১১০০/-আসাচৌ