নদীকে রক্ষায় ৭৫ পরবর্তি অন্য কোন সরকার পদক্ষেপ নেয়নি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

239

ঢাকা, ২৩ মে, ২০২১ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, নদীকে রক্ষা, নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করতে ’৭৫ এর পর আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া অন্য কোন সরকারকে পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষ থেকে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবি সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন। নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর বাংলাদেশ’ ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সুমন শাসসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, নেভাল আর্কিটেক্ট ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম, রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন এবং গণমাধ্যম কর্মী এম এ কে জিলানী।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের ও নিজেদের স্বার্থে নদীকে রক্ষা করতে হবে। বর্তমান সরকার নদীরক্ষায় ‘টাস্কফোর্স’ এবং ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন’ গঠন করেছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে এনে নদীকে মায়ের মতো রক্ষা করতে পারব।
তিনি বলেন, নদীকে বাঁচানোর জন্য নদীকে নিয়ে এখন অনেক কথা বলছি। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যা করার পর আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। ’৭৫ এর পর দীর্ঘদিন আমরা অন্ধকারে ছিলাম। কখনই স্বাভাবিকতা ছিলনা। স্বাধীনতার ৫০ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় এভাবেই কেটে গেছে। নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। নদীরও নিরাপত্তা দিতে পারিনি।
তিনি বলেন, দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা আমাদের পাথেয় হয়ে আছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুয়ায়ি কাজ করছেন। নৌপথ খননে ড্রেজার সংগ্রহ করছেন। নৌপথ খননে সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। লঞ্চের ডিজাইন যাত্রিবান্ধব নয়; জনবলের সমস্যা রয়েছে। লঞ্চের ডিজাইনের মান নিশ্চিত এবং দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে পারলে যাত্রি নিরাপত্তা সম্ভব হতো। দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হচ্ছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদীকে ঘিরেই প্রধানমন্ত্রী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছেন। পরবর্তি জেনারেশনের জন্য তিনি রাজনীতি করেন। তিনি ভিশন ২০২১, ২০৪১ এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে কি কি করতে হবে সে সকল পদক্ষেপ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাণিজ্য প্রসারের জন্য নদী বন্দরগুলোকে উন্নয়ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি মোংলা বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ‘পায়রা বন্দর’ নির্মাণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৩ মে গভীর রাতে ঝড়ের কবল পড়ে ‘এমভি লাইটিং সান’ ও ‘এমভি দিগন্ত’ লঞ্চ দু’টি ডুবে যায়। সে ভয়াবহ লঞ্চডুবিতে তিন শতাধিকমানুষ মারা যায়। বাংলাদেশের নৌপথে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিহতদের স্মরণে ‘২৩ মে’-কে জাতীয় নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে ‘নোঙর বাংলাদেশ’ গণসচেতনতা অব্যাহত রেখেছে।