মুলারের ৪৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড টপকে গেলেন লিওয়ানদোস্কি

181

মিউনিখ, ২৩ মে ২০২১ (বাসস) : বুন্দেসলিগার এক মৌসুমে ৪১ গোল করে সাবেক তারকা গার্ড মুলারের ৪৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড টপকে গেছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা রবার্ট লিওয়ানদোস্কি। মৌসুমের শেষ ম্যাচে আলিয়াঁজ এরিনায় শেষ মিনিটে গোল করে লিয়ানদোস্কি এই রেকর্ড গড়েছেন। জয় দিয়ে মৌসুম শেষ করার আগেই অবশ্য লিপজিগকে পিছনে ফেলে বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কাল শেষ ম্যাচে অসবার্গকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বেভারিয়ান্সরা।
বুন্দেসলিগার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ৭৫ বছর বয়সী মুলার ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৩৬৫ গোল করেছেন। লিওয়ানদোস্কি অবশ্য ২৭৭ গোল করে সেই তালিকায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। ১৯৭১-৭২ সালে সুলারের করা ৪০ গোলের ঐ রেকর্ড ভাঙ্গা কারো পক্ষেই সম্ভব নয় বলে অনেকেই ধারনা করেছিলেন। কিন্তু লিও সব ধারনাকে মিথ্যে প্রমান করে কাল নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছেন।
কাল ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে লিওয়ানদোস্কি বলেছেন, ‘শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত পুরো ম্যাচটিতে আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম। ম্যাচে অবশ্য আরো আগেই আমার গোল করা উচিত ছিল। কোন কোন সময় ভাল কিছুর জন্য ধৈর্য্য ধরাটা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি সব সময়ই বিশ্বাস করেছি সুযোগ আমার আসবেই। গোলের মুহূর্তটি ছিল সত্যিই বিশেষ ও ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত।
১৯৭১/৭২ সালে মুলার ৩৪ লিগ ম্যাচে ৪০ গোল করেছিলেন। কিন্তু ইনজুরি ও দল থেকে বাদ পড়া মিলিয়ে লিওয়ানদোস্কি এই রেকর্ড ভেঙ্গেছেন মাত্র ২৯ ম্যাচে। ঐ আসরে বায়ার্ন সর্বমোট ১০১ গোল করলেও এবার করেছে ৯৯ গোল। রেকর্ড গড়ার সময় মুলারের বয়স ছিল মাত্র ২৬, আর লিওয়ানদোস্কি ৩২ বছর বয়সে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। এবারের মৌসুমে গড়ে প্রতি ৬০ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন লিও, ‘দ্য বোম্বার’ খ্যাত মুলার যা করেছিলেন প্রতি ৭৭ মিনিটে।
দারুন ছন্দে থেকেই লিওয়ানদোস্কি ২০২০/২১ মৌসুম শুরু করেছিলেন। শালকের বিপক্ষে ৮-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে তিনি পেনাল্টিতে এক গোল দেয়া ছাড়াও দুটি এসিস্ট করেছিলেন। বুন্দেসলিগা মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই এই ফলাফল ছিল একটি রেকর্ড। পরের ম্যাচে হফেনহেইমের বিপক্ষে হতাশাজনক ৪-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে তিনি কোন গোল করতে পারেননি। কিন্তু অক্টোবরের শেষে ঘরের মাঠে হার্থা বার্লিনের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের নাটকীয় জয়ে চারটি গোলেই এসিস্ট করেছিলেন। প্রথম পাঁচ ম্যাচে ১০ গোল করার পর অক্টোবরের শেষে একটি ম্যাচে লিওয়ানদোস্কিকে বিশ্রামে রাখা হয়েছিল। এরপর ২০ লিগ ম্যাচে করেছেন ২৫ গোল। মার্চে পোল্যান্ডের হয়ে খেলতে গিয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়ার আগে স্টুটগার্টের বিপক্ষে হ্যাটট্রিসহ সর্বমোট ৩৫ গোল করেছিলেন। তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকার পর মেইঞ্জের বিপক্ষে পরাজয়ের ম্যাচটিতেও তিনি এক গোল করেছিলেন। এরপর আবারো বরুসিয়া মনচেনগ্ল্যাবাখের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৬-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে হ্যাটট্রিক করেন। এই ম্যাচটিতেই বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়।