বাংলাদেশে ভ্যাকসিন ‘নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ’ রাখতে আশ্বাস চীনের

439

ঢাকা, ২২ মে, ২০২১ (বাসস) : বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ‘নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ’ রাখতে বেইজিং-ঢাকাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইয়ের টেলি সংলাপে এ ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। ড. মোমেনের অনুরোধে চীনের স্টেট কাউন্সিরের দায়িত্বে নিয়োজিত ওয়াং দ্বিতীয় ধাপে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে আরো ছয় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন। এদিকে ড. মোমেন টেলিফোনে আলাপকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যেগে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুরোধ জানান।
জবাবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্টানগুলোকে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যেগে কোভিড-১৯ টীকা উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
চীনের দূতাবাস থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশের করোনা মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতির দিকে চীন গভীর নজর রাখছে। মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে টিকা জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে চীন উদ্বিগ্ন।
দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশে উপহারের প্রথম চালানের ৫ লাখ টিকা আসার ৯ দিনের মাথায় আরও ৬ লাখ টিকা উপহারের ঘোষণা দিলো চীন। যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরতা নির্ণয়ে সহায়তা করে। এতে প্রমাণিত হয়, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্কে কতটা গুরুত্ব দেয়। চীন বিশ্বাস করে, চীনের দ্বিতীয় ধাপে দেয়া উপহারের টিকা অবশ্যই বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি যোগাবে।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো জানান, চীন বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে টিকার যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে ।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে চীনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক চালু করার বিষয়ে শিগগির উদ্যোগ নিবেন বলে এ সময় জানান ওয়াং ই।