বাসস দেশ-৯ : নালিতাবাড়ীতে ভোগাই নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ

94

বাসস দেশ-৯
বাঁধ নির্মাণ
নালিতাবাড়ীতে ভোগাই নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ
শেরপুর, ২২ মে ,২০২১ (বাসস) : জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নে ভোগাই নদীর পাহাড়ি ঢল থেকে বসতবাড়ী, ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। উপজেলা পরিষদের এডিবি, টিআর, কাবিখা প্রকল্পের অর্থ ও স্বেচ্ছাশ্রমে কাজটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ বাঁধ নির্মাণের ফলে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী ও ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার কয়েক হাজার একর জমির ফসল রক্ষা পাবে। লাঘব হবে এলাকাবাসির দূঃক্ষ-দূর্দশা।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ সুত্রে জানাগেছে, মরিচপুরান ইউনিয়নের বুক চিরে বহমান ভোগাই নদী ইচ্ছেমাফিক পথ চলায় উপজেলার মরিচপুরান, খলাভাংগা, গুরুপপুর, বাঁশকান্দা, উল্লারপাড়, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পাবিয়াজুড়ি, রামনগর, ধুরাইল, আমতলী সহ প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ ছিল অসহায়। প্রায় ১২ বছর পূর্বে ভোগাই নদীতে পাহাড়ী ঢলের পানিতে খলাভাঙ্গা গ্রামে ভোগাই নদীর প্রায় ১হাজার ২শত মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে এলেই এসব এলাকার কৃষকদের ফসল ঘরে তোলা ছিল অনিশ্চিত। ওই এলাকা দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ৪-৫ হাজার একর আমন ফসল পানিতে ডুবে যেত। এছাড়াও প্রচন্ড পানির তোড়ে ভাঙতো নদী তীর, নদী গর্ভে বিলীন হতো ফসলি জমি। বাড়ি ঘর, রাস্তাঘাট পানিতে ডুবতো। সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী দিক নির্দেশনায় জনগণের এ দুর্ভোগ এর কথা চিন্তা করে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ এডিবির ৩১ লাখ টাকা ও টিআর, কাবিখা প্রকল্পের ১৪ লাখ টাকায় নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ ভোগাই নদীর প্রায় ৭০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এর সঙ্গে স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁধ নির্মাণের কাজে যোগ দেয় গ্রামের মানুষ। মাত্র ২০ দিনে সিমেন্ট ও বালি মিশ্রিত ৫০ হাজার বস্তা দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এ বাঁধ।
খলাভাংগা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশীদ জানায়, এ একটি মাত্র বাঁধের কারণে আমরা কখনই আমাদের জমিতে একমাত্র বোর ফসল ছাড়া আর কোন ফসল করতে পারিনি। আমন আবাদ করে আমরা কোনদিন ঘরে ধান উঠাতে পারিনি।
আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বাড়িঘর, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়া ছাড়াও নদী গর্ভে বিলীন হতো আমাদের আবাদি জমি। আবার অপর পাড়ে জেগে উঠা জমি নিয়ে মারামারিও হতো। এখন এ বাঁধটি নির্মিত হওয়ার ফলে ভোগাই নদীর পথ চলা নিয়ন্ত্রণে আসবে। আমরা আশা করি, এ বাঁধের কারণে আমাদের ফসলি জমি রক্ষা পাবে। নিশ্চিত হবে আমাদের ঘাম ঝরা ফসল ঘরে তোলার। আমাদের সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সর্বাত্বক সহযোগিতায় এ বাধ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুকছেদুর রহমান লেবু বলেন-এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে জনতার সহযোগিতা, সেচ্ছাশ্রমে নদীর বাঁধ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। ফলে স্থানীয়দের জান-মালসহ ফসল রক্ষা হবে বলে আশা করছি।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৩৩০/নূসী