বাসস দেশ-৫ : যশোরের রাজগঞ্জের মাঠ ভরে উঠেছে সোনালি আঁশে

111

বাসস দেশ-৫
সোনালি-স্বপ্ন
যশোরের রাজগঞ্জের মাঠ ভরে উঠেছে সোনালি আঁশে
যশোর, ২২ মে, ২০১০ (বাসস) : জেলার মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার মাঠে-মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সবুজ পাটক্ষেত। পাটগাছ এক হাত মতো উঁচু হয়েছে। এতেই সবুজে মাঠ ভরে উঠেছে সোনালি আঁশ খ্যাত পাটে। পাটের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় পাটচাষে আগ্রহী হয়েছেন রাজগঞ্জ এলাকার চাষিরা। পাটের সোনালি অতীতকে ফিরিয়ে আনতে রাজগঞ্জের মাঠে-মাঠে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সবুজ পাটক্ষেত। বৃষ্টিহীন এই রোদে পুড়ে ও প্রচন্ড গরমে কৃষকরা তাদেও পাটক্ষেত পরিষ্কার-পরিছন্ন করছেন দল বেঁধে। আশা-নিরাশার দোলাচালে এখনও কৃষকের আঙিনা রঙিন করে রাখছে এই সোনালি আঁশ। প্রতি বছর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে ফসল ফলান কৃষক। সবুজ পাটকে রূপান্তরিত করেন সোনালি বর্ণে।
গতবছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় খুশি হয়েছেন কৃষকরা। এ বছরও কৃষকরা সেই বুকভরা আশা নিয়ে পাটের আবাদ করেছেন। রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের পাটচাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছিল। দামও ভালো পেয়েছিলাম। এবছরও আড়াই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো এবং বাজারে দামও ভালো পাবো। হানুয়ার গ্রামের আরেক পাটচাষি খোকন মিয়া বলেন, এ বছর বৃষ্টি কম থাকায় পাট গাছ বাড়ছে কম। এখন পাটের ক্ষেত পরিচর্যা করতে শ্রমিকদের মুজরি বেশি দিতে হচ্ছে। তাতে করে উৎপাদন খরচ বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের একজন পাট ব্যবসায়ী বলেন, গত বছর উঠতি নতুন পাট প্রতিমণ ক্রয় করেছি ১ হাজার ৬০০ টাকায়। মাঝামাঝি সময় থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। পাটের দাম কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা ভালো। এজন্য স্থানীয় কৃষকরা আবারো পাটচাষে ঝুঁকছেন। গতবছর পাটচাষিদের কাছ থেকে পাট ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করে নগদ টাকায় পাট কিনেছে। তাই কৃষকের সমস্যা হয়নি।
রাজগঞ্জের চালুয়াহাটি ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি অফিসার এসএম মারুফুল হক বলেন, পাট মূলত বৃষ্টিনির্ভর ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাটের ফলন ভালো হবে আশা করছি।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১১৪০/কেজিএ