ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল ট্যালেন্ট তৈরির এখনি উপযুক্ত সময় : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

1913

ঢাকা, ২০ মে, ২০২১ (বাসস): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ডিজিটাল ট্যালেন্ট তৈরির এখনি উপযুক্ত সময়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় বলতেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ এ দেশের মাটি এবং মানুষ। এর প্রতিফলন আমরা এখন দেখত পাচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনা মহামারি সত্ত্বেও উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে সকল ক্ষেত্রে দক্ষতার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে ভিশন ২০২১।
আজ হুয়াওয়ের উদ্যোগে ‘কালটিভেটিং এ টেলেন্ট ইকোসিসটেম ফর ইনক্লুসিভ ডিজিটাল প্রসপারেটি’ শীর্ষক ডিজিটাল ট্যালেন্ট রিজিওনাল সামিটের আলোচনায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করে তিনি এ সব কথা বলেন।
সামিটে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রাটিক সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব শ্রীলঙ্কার মিনিস্ট্রি অব টেকনোলজির সেক্রেটারি জয়ন্ত ডি সিলভা এবং নেপালের মিনিস্ট্রি অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির সেক্রেটারি হরি প্রসাদ বশ্যাল।
সামিটে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার, হেড অব অফিস এবং বাংলাদেশে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
সামিটে বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমানে দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের আয় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে করতে দেশব্যাপী ৩৯টি হাইটেক পার্ক করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পারদর্শী করে তুলতে দেশের ১৩৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেসালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।