বাসস দেশ-৪ : বরগুনার শহর ও গ্রামে মৌসুমি ফল তালের শাঁসের কদর বেড়েছে

108

বাসস দেশ-৪
বরগুনা-তালের শাঁস
বরগুনার শহর ও গ্রামে মৌসুমি ফল তালের শাঁসের কদর বেড়েছে
বরগুনা, ১৯ মে, ২০২০ (বাসস) : প্রচন্ড তাপদহে বরগুনার শ্রমজীবী মানুষসহ সাধারণ মানুষের কাছে মৌসুমি ফল তালের শাঁসের চাহিদা ও কদর বেড়ে গেছে। এ গরমে তৃষ্ণা ও শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে লোকজন তালের শাঁস কিনে খাচ্ছেন। চাহিদার কারণে ব্যবসায়ীরা দামও নিচ্ছে তুলনামূলক বেশী। ক্লান্ত ও পরিশ্রমী মানুষ বিশেষ করে শ্রমজীবীরা এ প্রকিৃতিক ভেজালমুক্ত ফলটি কিনে খেতে দামের বিষয়টি খুব একটা আমলে আনছেন না।
তাল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘বোরাসাস ফ্লাবেলিফার (ইড়ৎধংংঁং ভষধনবষষরভবৎ)’। এটি এশিয়া ও আফ্রিকার গ্রীষ্মকালীন ফল গাছ। ওই গাছের ফলকে তাল বলা হয়। পাকার আগে গ্রামাঞ্চলে এটি ‘পানি তাল’ হিসেবে পরিচিত। তাল ‘এরিকাসি’ পরিবারের ‘বরাসুস’ গণের একটি সস্পুক উদ্ভিদ। তালের ফল এবং বীজ বাঙালির খাদ্য। তালের ফলের ঘণ নির্যাস থেকে তাল ফুলুরি তৈরি হয়। তালের বীজও খাওয়া হয় লেপা বা তালশাঁস নামে। তালে রয়েছে প্রচন্ড ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক পটাশিয়াল, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। এর সাথে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ ফলে ৯২ দশমিক ৩ শতাংশ জলীয় অংশ, ক্যালরী ২৯, শর্করা ৬ দশমিক ৫ গ্রাম, ক্যালমিয়ান ৪৩ মিলিগ্রাম, খনিজ শুন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম ও ৪ মিলিগ্রাম রয়েছে বলে জানান পুষ্টিবিদরা।
তালের শাঁসের কদর গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশী। ব্যবসায়ীরা গ্রাম-গঞ্জ থেকে তাল সংগ্রহ করে সড়কের পাশে ও অলিগলিতে বিক্রি করছে। মানুষ অহরহ ফরমালিন মুক্ত এ ফল খেয়ে খাচ্ছেন। তালের চাহিদা থাকায় বিচি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বড় তাল প্রতি বিচি শাঁস ৫ টাকা করে তিন বিচি তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। আবার ছোট তালের বিচির শাঁস ৩ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা মূল্যের দিতে না তাকিয়ে স্বাছন্দে কিনে নিচ্ছেন।
তাল ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া জানান, গ্রাম থেকে গাছ মূল্যে তাল কিনে ভ্যানে গ্রামগঞ্জে ঘুরেঘুরে বিক্রি করেন। প্রতি পিস তাল কিনতে হয় প্রকারভেদে ৩ থেকে ৭ টাকায়। বিক্রি করেন ৫ থেকে ১২ টাকা। তিনি আরো জানান, গত ১৫ দিন ধরে বিক্রি করছি। এতে দৈনিক ৯’শ থেকে এক হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ^বিদ্যালয়ের নিউট্রিশন বিভাগের পুষ্টিবিদ ডা. মো. মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, তাল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি আশ যুক্ত জাতীয় পদার্থ। তাল খেলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৃদ্ধি পায় এবং পানি ভিটামিনের অভাব দূর হয়।
বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মোনায়েম সাদ বলেন, তালের শাঁসের অনেক উপকারীতা রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে। তালের শাঁস একটি আশযুক্ত খাবার।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১০৪৫/নূসী