বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : দেশের জন্য ক্ষতিকর কারও কোন পরামর্শ সরকার গ্রহণ করবে না : প্রধানমন্ত্রী

109

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-এনইসি-ভাষণ-(দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
দেশের জন্য ক্ষতিকর কারও কোন পরামর্শ সরকার গ্রহণ করবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩ জুন সংসদে বাজেট উত্থাপনের প্রায় সকল কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারায় সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং সরকারি কর্মচারিদের কাজের গতি ও মনযোগ বৃদ্ধির প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মচারিদের কাজের প্রতি মনযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে অতীতের মত ‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’ সেই বিষয়টি বর্তমানে নেই। অন্তত সকলের কাজের প্রতি একটা আন্তরিকতা আছে, দেশটাকে নিজের মনে করার এবং সেভাবেই কাজটি করার। সেই মানসিকতাটা তৈরী হয়ে গেছে, এটিই হচ্ছে সব থেকে আশার ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজকে নিজের মনে করার মানসিকতা এবং আন্তরিকতা না থাকলে নিজে যেমন আগানো যায় না দেশকেই উন্নত করা যায় না।
তিনি এ সময় প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ভূমিকায় লেখা জাতির পিতার বক্তব্য উদ্ধৃত করেন এবং বলেন, এই কথাগুলো মনে হয় যুগ যুগ ধরেই আমাদের কাজে লাগবে।
জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘নো প্ল্যান হাওএভার ওয়েল ফরমুলেটেড কেন বি ইপ্লিমেন্টেড আনলেস দেয়ার ইজ এ টোটাল কমিটমেন্ট অন পার্ট অব দ্য পিপল অব দ্য কান্ট্রি টু ওয়ার্ক হার্ড এন্ড মেক নেসেসারি সেক্রিফাইসেস। অল অব আস উইল দেয়ার ফর হ্যাভ টু ডেডিকেট আওয়ার সেলফস টু দ্য টাস্ক অব নেশন বির্ল্ডিং উইথ সিঙ্গেল মাইন্ড ডিটারমিনেশেন।’
তিনি বলেন, যত প্লান প্রোগ্রাম- আমরা যাই করি না কেন, সেটাকে আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো যদি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করি। যদি আমরা নিজেদেরকে কাজের সঙ্গে একেবারে বিলীন করে নিতে পারি এবং দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য দেশের কল্যাণের জন্য নিজের যতরকম আত্মত্যাগ করা দরকার সেই আত্মত্যাগ করবার মানসিকতাটা নিয়ে যদি আমরা দেশের জন্য কাজ করি, তবেই, কিন্তু এটা কার্যকর হবে। তা না হলে এটা কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই আমার মন্ত্রিপরিষদ বা সরকারি অফিসার-কর্মচারিরা যারা আছেন প্রত্যেককে, কারণ, আমি যেটা লক্ষ্য করেছি, আমরা এই একটানা ১২ বছর যে কাজ করে যাচ্ছি, সেখানে প্রত্যেকের মাঝে আমি আন্তরিকতা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজগুলোকে গ্রহণ করে সেগুলো বাস্তবায়ন করা এবং তারমধ্য দিয়ে যখন এক একটা অর্জন এসেছে এবং এরফলে সকলের মাঝে যে আত্মতৃপ্তি, এটাই সবথেকে বড় কথা।
‘আপনি আপনার সৃষ্টিটাকে সুন্দরভাবে নিয়ে আসতে পেরেছেন যার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। যারা সবসময় শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত এবং নির্যাতিত ছিল। শত ছিন্ন বস্ত্র পরিহিত, অস্থি চর্মসার বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রায় যে আমরা একটা পরিবর্তন আনতে পেরেছি সেটাই সবথেকে বড় কথা। তবে, আমাদের আরো সামনে যেতে হবে, অনেত দূর এগিয়ে যেতে হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের আজকে যে মর্যাদা পেয়েছি সেটাকে ধরে রেখে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ আরো উন্নতি করবে। এই দেশে কোন দরিদ্র থাকবে না। আমরা জাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
প্রধানমন্ত্রী গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এটি অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, কৃষি আমাদের জীবন। এই কৃষিকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। আর এই মহামারীর সময় আমি যেই কথাটা বারবার বলছি, তা হচ্ছে, আমাদের খাদ্য উৎপাদনটা অব্যাহত রাখতেই হবে। যাতে, কোনভাবেই খাবারের অভাবটা না হয়। কাজেই এদিকটায় সবাইকে একটু বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজ বাড়ির পাশের পতিত জমিও যাতে কাজে লাগানো যায় এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের বাজার সম্প্রসারণে প্রচেষ্টা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মহলকে আহ্বান জানান।
বাসস/এএসজি/এফএন/১৯১৩/আরজি