বাসস দেশ-৬ : করোনায় চট্টগ্রামে ৫ জনের মৃত্যু

115

বাসস দেশ-৬
চট্টগ্রাম-করোনা-মৃত্যু
করোনায় চট্টগ্রামে ৫ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম, ১৮ মে, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন ৭০ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল সোমবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৭০ জন বাহকের মধ্যে শহরের ৬২ এবং ছয় উপজেলার ৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫১ হাজার ৮৯৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৪১ হাজার ৫২২ ও গ্রামের ১০ হাজার ৩৭৫ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৮ জনের মধ্যে বাঁশখালী ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং রাউজান, ফটিকছড়ি, সীতাকু- ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের তিন জন ও গ্রামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৫৮৭ জন। এর মধ্যে ৪৩১ জন শহরের ও ১৫৬ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ১২২ জনকে। ফলে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ২১৭ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৪০৭ জন ও ঘরে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩২ হাজার ৮১০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩২ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৪৫৫ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ৫ জনসহ চলতি মে মাসের প্রথম ১৭ দিনে চট্টগ্রামে ৬৩ করোনা রোগির মৃত্যু হলো। এ সময়ে সর্বনি¤œ একজন করে মারা যান চারদিন ১০, ১৩, ১৪ ও ১৬ মে। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। এদিন ১০৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং হার ছিল মাসের সর্বনি¤œ ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এদিকে, গতকালও আক্রান্তের তুলনায় আরোগ্যলাভকারী রোগির সংখ্যা বেশি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কম নমুনা পরীক্ষায় কম আক্রান্ত শনাক্ত হলেও আক্রান্তের হার মে মাসের সবচেয়ে বেশি। এর আগে হার ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ওঠেছিল ২ মে। এদিন ৭ রোগির মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে সবচেয়ে বেশি ১৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে গ্রামের ২ জনসহ ১২ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৪৬ জনের নমুনায় গ্রামের ১ জনসহ ১১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২২ জনের নমুনার মধ্যে ৫ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। এরা সকলেই শহরের। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত আরটিআরএলে ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৩টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। তেরোটিরই বাহক শহরের ।
বেসরকারি চার ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২টিসহ ১৫টি, শেভরনে ৩০টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭টি নমুনায় গ্রামের ১টিসহ ৬টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৩টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রামের ১৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টির পজিটিভ এবং বাকীগুলোর নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। পটিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোববার একদিন নমুনা পরীক্ষা হলেও গতকাল হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সিভাসু’তে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৩ দশমিক ৯১, চমেকে ২২ দশমিক ৭৩, আরটিআরএলে ৩৯ দশমিক ৩৯, ইম্পেরিয়ালে ১৮ দশমিক ৭৫, শেভরনে ৬ দশমিক ৬৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৫ দশমিক ২৯ এবং মেডিকেল সেন্টারে ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১২২০/-আসাচৌ