বাসস দেশ-৫ : চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা কমেছে

114

বাসস দেশ-৫
চট্টগ্রাম-কোভিড
চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষা কমেছে
চট্টগ্রাম, ১৭ মে, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা কম হওয়াতে আক্রান্তের হারও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩৭ জনের দেহে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত ১ জন মারা যান।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল রোববার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর সাতটি ল্যাবে চট্টগ্রামের ৩৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৩৭ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ জন এবং নয় উপজেলার ১০ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫১ হাজার ৮২৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১ হাজার ৪৬০ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৩৬৭ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ১০ জনের মধ্যে পটিয়ায় ৩ জন, বাঁশখালী, সাতকানিয়ায় ২ জন করে এবং রাউজান, সীতাকু- ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের এক রোগির মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৫৮২ জন। এর মধ্যে ৪২৯ জন শহরের ও ১৫৩ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ১২৮ জনকে। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৯৫ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫ হাজার ৩৯০ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩২ হাজার ৭০৫ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৪৬৩ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ১ জনসহ চলতি মে মাসের প্রথম ১৬ দিনে চট্টগ্রামে ৫৮ করোনা রোগির মৃত্যু হলো। এ সময়ে সর্বনি¤œ একজন করে মারা যান ১০, ১৩ ও ১৪ মে এবং গতকাল। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। এদিন ১০৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং হার ছিল মাসের সর্বনি¤œ ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ মাসে কোনো মৃত্যুশূন্য দিন কাটেনি। এদিকে, গতকাল আক্রান্তের তুলনায় আরোগ্যলাভকারী রোগির সংখ্যা প্রায় চার গুণ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৩ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১০৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪০ জনের নমুনায় গ্রামের একজনসহ ৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৯ জন ও গ্রামের ৬ জন করোনাভাইরাস চিহ্নিত হন।
বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৫টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬টি এবং নতুন যুক্ত পটিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৪টি নমুনার দু’টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি শেভরন ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ, চমেকে ১ দশমিক ৮৩, সিভাসু’তে ১০ শতাংশ, আরটিআরএলে ২০, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭ দশমিক ২৪, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ দশমিক ৫৮ এবং নতুন যুক্ত পটিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১১৫৫/-আসাচৌ