বাসস ক্রীড়া-৬ : ২০১৮ সালের বল বিকৃতি নিয়ে বোমা ফাটালেন ব্যানক্রফট

105

বাসস ক্রীড়া-৬
ক্রিকেট-বেনক্রফট
২০১৮ সালের বল বিকৃতি নিয়ে বোমা ফাটালেন ব্যানক্রফট
সিডনি, ১৬ মে, ২০২১ (বাসস) : ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপ টাউন টেস্টে বল বিকৃতির দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দলের স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামরুন ব্যানক্রফট। কিন্তু ঐ বল-বিকৃতি করার কথা অস্ট্রেলিয়ার দলের সকল বোলারই জানতেন বলে বোমা ফাটালেন ব্যানক্রফট। ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন তিনি।
২০১৮-এ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপ টাউন টস্টে শিরিষ কাগজ দিয়ে বল বিকৃত করেছিলেন ব্যানক্রফট। তার সাথে জড়িত ছিলেন- স্মিথ ও ওয়ার্নার। ব্যানক্রফটকে উৎসাহ দিয়েছিলেন তারা। তাদের বল বিকৃতির ঘটনা তদন্তের পর ব্যানক্রফটকে ৯ মাস, স্মিথ-ওয়ার্নারকে ১ বছর করে সবধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
বর্তমানে ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলছেন ব্যানক্রফট। সেখানে এক সাক্ষাৎকারে বল বিকৃতির প্রসংগ উঠতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন তিনি। ব্যানক্রফট বলেন, ‘আমি যে কাজটা করেছিলাম, তাতে বোলাররা সুবিধা পেয়েছিল। সবাই জানত কী ঘটছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং বিভাগ সামলাচ্ছিলেন মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স এবং নাথন লিঁও। এদের সকলেই বল বিকৃতির বিষয়টি জানতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে যে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল আমি সেটি করেছিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল যাতে বোলাররা সুবিধা পায়। ধরা পড়ার পর, আমি বুঝতে পারলাম, কি হয়ে গেল। আমাকে দেখে অনেকেই শিখতে পেরেছে, ক্রিকেট মাঠে কি করা উচিত নয়, কি করা উচিত নয়।’
বল বিকৃতি করার সময়, বুদ্ধি লোপ পেয়েছিলো বলে জানান ব্যানক্রফট। তিনি বলেন, ‘নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এমন কাজে আমাকে যাতে সতীর্থরা ভরসা করতে পারে, সেটিই চেয়েছিলাম। ভুল করার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি কি করছি এবং এর ফল কী হতে পারে।’
তিন বছর আগের বল-বিকৃতি নিয়ে ব্যানক্রফটের এমন মন্তব্যে ফের তদন্তের কথা ভাবছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
ব্যানক্রফটের সাক্ষাৎকারের পর সিএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বল বিকৃতি কান্ড নিয়ে যদি কেউ নতুন কোনও তথ্য দেয় তবে আমরা ফের তদন্ত করার পক্ষে। আগে যে তদন্ত হয়েছিল তা সঠিক ভাবেই হয়েছিল। তারপরও কেউ নতুন করে তথ্য দিলে নতুন করে তদন্ত শুরু করা প্রয়োজন। এতে আরও নতুন কিছু বের হয়ে আসতে পারে।’
বাসস/এএমটি/১৮০৫/স্বব