ভোলা, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : জেলার লালমোহন উপজেলায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে একজন নিহত ও ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৪ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
মেঘনায় ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে শুকুর মিয়া (৫০) নামে একজন মাঝি মারা যান। তিনি যশোর জেলার বাসিন্দা। যশোর থেকে পাটকাঠি নিয়ে তিনি ভোলার লালমোহনে আসছিলেন।
ঘূর্ণিঝড়ে লালমোহন কলেজিয়েট স্কুলের চালা উড়ে গিয়ে ১০শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৫ জনকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হচ্ছে, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা, ৮ম শ্রেণির ছাত্র মাহাদি ও জুগল চন্দ্র, ৯ম শ্রেণির মাইনুদ্দিন এবং ১০ শ্রেণির মাইনুদ্দিন। অন্যান্য শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ সময় মনপুরায় ৩ হাজার বস্তা সিমেন্টসহ একটি কার্গোবোট ডুবে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বোটটি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও প্রায় ১৫ লাখ টাকার সিমেন্ট নষ্ট হয়।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান, দুপুরের পর হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের তা-বে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৪ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে ২৫০টি আংশিক ও ১৫০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে অন্তত ১শ’ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।