চট্টগ্রামে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

177

চট্টগ্রাম, ১৬ মে ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ২৫ জন শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ২৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ জন ও চার উপজেলার ৫ জন। এর মধ্যে সাতকানিয়ায় ২ জন, বাঁশখালী, সীতাকু- ও হাটহাজারীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫১ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১ হাজার ৪৩৩ ও গ্রামের ১০ হাজার ৩৫৭ জন।
গতকাল করোনায় নগরীর একজন এবং গ্রামের ৩ জনের মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৫৮১ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪২৮ জন ও গ্রামের ১৫৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১১৪ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৬৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৩৫৭ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩২ হাজার ৬১০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ২০ জন, ছাড়পত্র নেন ৪৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৫৪ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ৪ জনসহ চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে চট্টগ্রামে ৫৭ করোনা রোগীর মৃত্যু হলো। এ সময়ে সর্বনি¤œ একজন করে মৃত্যু ছিল তিনদিন ১০, ১৩ ও ১৪ মে। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। এদিন ১০৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং হার ছিল মাসের সর্বনি¤œ ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। এ মাসে কোনো মৃত্যুশূন্য দিন কাটেনি। এদিকে, গতকাল আক্রান্তের তুলনায় আরোগ্য লাভকারী রোগীর সংখ্যা চার গুণেরও বেশি। এ সময়ে নতুন করে আইসোলেশনে যাওয়া রোগীর বিপরীতে আইসোলেশন মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়া রোগী দ্বিগুণেরও বেশি। এ দু’টি ক্ষেত্রের ফলাফল ইতিবাচক হলেও মৃত্যু ও সংক্রমণের হার মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল অনেক কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৫ জন ও গ্রামের ৩ জনসহ ৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৪ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪ টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৪ টি নমুনায় গ্রামের ২ টিসহ ৭ টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৫ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় দু’টিরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আরটিআরএল, ও বেসরকারি ল্যাব শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৭৩, চমেকে ০ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ২৮ দশমিক ৫৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০, মেডিকেল সেন্টারে ৪০ এবং কক্সবাজার মেডিকেল ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।