চট্টগ্রামে করোনায় নতুন আক্রান্তের প্রায় দ্বিগুণ সুস্থ্য

216

চট্টগ্রাম, ১৫ মে, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ্যতার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এ সময়ে এক রোগীর মৃত্যু ও নতুন ৬১ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত ৮১ দিনের মধ্যে এটাই একদিনে করোনার সর্বনি¤œ সংক্রমণ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৬১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫০ জন ও চার উপজেলার ১১ জন। এর মধ্যে বাঁশখালীতে ৫ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, সাতাকনিয়ায় ২ জন এবং আনোয়ারায় ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫১ হাজার ৭৬৫ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১ হাজার ৪১৩ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৩৫২ জন।
গতকাল করোনায় নগরীর এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৫৭৭ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪২৭ জন ও গ্রামের ১৫০ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১১৮ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৫৩ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৩২৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৩২ হাজার ৫২৪ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩৫ জন, ছাড়পত্র নেন ৪৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৭৮ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ১ জনসহ চলতি মে মাসের প্রথম ১৪ দিনে চট্টগ্রামে ৫৩ করোনা রোগির মৃত্যু হলো। এ সময়ে সর্বনি¤œ একজন করে মৃত্যু ছিল তিনদিন ১০ মে, ১৩ মে ও গতকাল। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। এদিন ১০৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং হার ছিল মাসের সর্বনি¤œ ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। তবে এ মাসে কোনো মৃত্যুশূন্য দিন ছিল না। এছাড়া, সংখ্যার বিচারে গত ৮১ দিনের মধ্যে গতকালই ছিল সর্বনি¤œ সংক্রমণ। ২২ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জনের নমুনায় করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। সংক্রমণ হার ছিল ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। একই সময়ে সুস্থ্য হয়ে ওঠেন ৬২ জন। গতকাল সুস্থ্যতার সংখ্যা নতুন আক্রান্তের প্রায় ˜িগুণ। ৬১ জন সংক্রমিতের বিপরীতে ১১৮ জন সুস্থ্য।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ২৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ জনসহ ১৬ জন করোনার জীবাণুবাহক শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪৮ জনের নমুনার মধ্যে ১০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৩৪টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪টিসহ ১৫টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১টিসহ ১১টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৮টি নমুনায় শহরের ৫টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রামের ২৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় গ্রামের চারটির পজিটিভ এবং বাকীগুলোর নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^াবদ্যালয়, ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল এবং মেডিকেল সেন্টারে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ৬ দশশিক ৪২ শতাংশ, চমেকে ৪ দশমিক ০৩, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৪১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫০ শতাংশ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।