চট্টগ্রামে নতুন ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত

193

চট্টগ্রাম, ১৪ মে, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। এদিন করোনায় আক্রান্ত ১ জনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০৩ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭১ জন ও বারো উপজেলার ৩২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ পটিয়ায় ১১ জন, হাটহাজারী ও মিরসরাইয়ে ৪ জন করে, ফটিকছড়ি ও সাতকানিয়ায় ৩ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকু-, সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫১ হাজার ৭০৪ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১ হাজার ৩৬৩ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৩৪১ জন।
গতকাল করোনায় শহরের এক রোগির মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৭৬ জন। এতে শহরের ৪২৬ জন ও গ্রামের ১৫০ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৩১ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৭৩৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৩১০ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৩২ হাজার ৪২৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৮৮ জন।
উল্লেখ্য, গতকালের ১ জনসহ চলতি মে মাসের প্রথম ১৩ দিনে চট্টগ্রামে ৫২ করোনা রোগির মৃত্যু হলো। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। এদিন ১০৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে এবং হার ছিল মাসের সর্বনি¤œ ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি ৭৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ৭৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৪ ও গ্রামের ১১ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ৪ জনসহ ১৫ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৫টি নমুনায় শহরের ১৭ ও গ্রামের ১১টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৯ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ জনসহ ৭ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৮টি করে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ইম্পেরিয়ালে শহরের ৫টি এবং মা ও শিশু’তে গ্রামের ২টিসহ ৬টি নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টারে ২১ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ জনসহ ৭ জনের দেহে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রামের ২৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
তবে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ৪ দশশিক ৬৪ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ২০, সিভাসু’তে ২২ দশমিক ৪০, চমেকে ১১ দশমিক ৮৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৭ দশমিক ৭৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৩ দশমিক ৩৩, মেডিকেল সেন্টারে ৩৩ দশমিক ৩৩ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।