বাসস দেশ-২৫ : করোনাকালের বকেয়া বিলের সারচার্জ মওকুফের দাবি ক্যাব’র

80

বাসস দেশ-২৫
চট্টগ্রাম – ক্যাব – দাবি
করোনাকালের বকেয়া বিলের সারচার্জ মওকুফের দাবি ক্যাব’র
চট্টগ্রাম, ৯ মে, ২০২১ (বাসস) : কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা সুরক্ষায় সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, বিআরটিএ’র সকল বকেয়া বিলের সারচার্জ মওকুফের দাবি জানিয়েছে।
আজ এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলমান, আবার এর মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে অধিকাংশ মানুষ আয়-রোজগার, কর্ম হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। সাধারণ ও নি¤œ আয়ের অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে জীবন ও জীবিকা সুরক্ষায়। অধিকাংশ নগরবাসীকে নিয়মিত সিটি করপোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, বিআরটিএ’র নিয়মিত বিল পরিশোধে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসমস্ত বিলের বোঝা আবার অনেক জায়গায় ভাড়াটিয়া ও ভোক্তার ওপর বর্তাচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতে করোনার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারি উদ্যোগে সর্বস্তরের জনগণ ও পেশাজীবীদের জন্য নানা প্রণোদনা ও সহায়তা রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুজিববর্ষের প্রাক্কালে ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ অনেকেই বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও বিলের সারচার্জ মওকুফের ঘোষণা দিলেও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে কোন ঘোষণা দেয়নি। সরকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ স্থগিত করার নিদের্শনা দিলেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সুদে-আসলে সব সুদ আদায় করে নিয়েছে। ফলে অনেক নাগরিকের ইউটিলিটি খাতে বিপুল পরিমাণ বকেয়া অনাদায়ী থেকে গেছে। আবার আর্থিক সংকটে পতিত গ্রাহকদের বকেয়া বিলের সুদসহ বোঝা টানতে হচ্ছে। এ অবস্থায় করোনার ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে অবিলম্বে বকেয়া বিল ও হোল্ডিং ট্যাক্সের ওপর সকল সারচার্জ মওকুফের নির্দেশনা প্রদানের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে স্বাক্ষর করেন : ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২০ সালে লকডাউন চলাকালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের কিস্তি আদায় না করা, বিলম্ব সুদ না নেবার নির্দেশনা দিলেও তাদের সে নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরবর্তীতে সুদসহ আদায় করে নেয়, যা শুধু দুঃখজনক নয়, করোনাকালে অমানবিক ও অনাকাঙ্খিতও বটে।
বাসস/জিই/কেএস/ ১৬৪৫/এএএ